পরিচ্ছদঃ ২১
নেকী ও সংযমশীলতার কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,﴿ وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ ﴾ [المائدة: ٢] অর্থাৎ “সৎকাজ ও আত্মসংযমে তোমরা পরস্পর সহযোগিতা কর।” (সূরা মায়েদাহ ২ আয়াত)তিনি আরো বলেন,﴿ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣ ﴾ [العصر: ١، ٣] অর্থাৎ “সময়ের শপথ!। মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয়। আর উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারণের।” (সূরা আসর)ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, লোকেরা অথবা তাদের অধিকাংশই এই সূরা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে উদাসীন। (তফসীর ইবনু কাসীর)
রিয়াদুস সলেহিন : ১৮৫
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১৮৫
وَعَنْ أَبِي مُوسَى الأشعَرِي رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، أنَّه قَالَ: «الخَازِنُ المُسْلِمُ الأمِينُ الَّذِي يُنفِذُ مَا أُمِرَ بِهِ فيُعْطيهِ كَامِلاً مُوَفَّراً طَيِّبَةً بِهِ نَفْسُهُ فَيَدْفَعُهُ إِلَى الَّذِي أُمِرَ لَهُ بِهِ، أحَدُ المُتَصَدِّقين». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে মুসলিম আমানাতদার কোষাধ্যক্ষ মালিকের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে এবং সে ভালো মনে তাকে পূর্ণ মাল দেয়, যাকে মালিক দেওয়ার আদেশ করে, সেও সাদকাহকারীদের মধ্যে একজন গণ্য হয়।’’[১]
[১] মুসলিম ১৪৩৮, ২২৬০, ২৩১৯, মুসলিম ১০২৩, ১৬৯৯, আবূ দাউদ ১৬৮৪, আহমাদ ১৯০১৮, ১৯১২৭, ১৯১২৮, ১৯১৫৩, ১৯২০৭, নাসায়ী ২৫৬০