পরিচ্ছেদঃ ২০

শস্য ও যায়তুন তৈলের যাকাত

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৫৯৫

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الزَّيْتُونِ فَقَالَ فِيهِ الْعُشْرُ ৯৩৭قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ مِنْ الزَّيْتُونِ الْعُشْرُ بَعْدَ أَنْ يُعْصَرَ وَيَبْلُغَ زَيْتُونُهُ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ فَمَا لَمْ يَبْلُغْ زَيْتُونُهُ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ فَلَا زَكَاةَ فِيْهِ ৯৩৮وَالزَّيْتُونُ بِمَنْزِلَةِ النَّخِيلِ مَا كَانَ مِنْهُ سَقَتْهُ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ أَوْ كَانَ بَعْلًا فَفِيهِ الْعُشْرُ وَمَا كَانَ يُسْقَى بِالنَّضْحِ فَفِيهِ نِصْفُ الْعُشْرِ وَلَا يُخْرَصُ شَيْءٌ مِنْ الزَّيْتُونِ فِي شَجَرِهِ ৯৩৯وَالسُّنَّةُ عِنْدَنَا فِي الْحُبُوبِ الَّتِي يَدَّخِرُهَا النَّاسُ وَيَأْكُلُونَهَا أَنَّهُ يُؤْخَذُ مِمَّا سَقَتْهُ السَّمَاءُ مِنْ ذَلِكَ وَمَا سَقَتْهُ الْعُيُونُ وَمَا كَانَ بَعْلًا الْعُشْرُ وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ الْعُشْرِ إِذَا بَلَغَ ذَلِكَ خَمْسَةَ أَوْسُقٍ بِالصَّاعِ الْأَوَّلِ صَاعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا زَادَ عَلَى خَمْسَةِ أَوْسُقٍ فَفِيهِ الزَّكَاةُ بِحِسَابِ ذَلِكَ.৯৪قَالَ مَالِك وَالْحُبُوبُ الَّتِي فِيهَا الزَّكَاةُ الْحِنْطَةُ وَالشَّعِيرُ وَالسُّلْتُ وَالذُّرَةُ وَالدُّخْنُ وَالْأُرْزُ وَالْعَدَسُ وَالْجُلْبَانُ وَاللُّوبِيَا وَالْجُلْجُلَانُ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْحُبُوبِ الَّتِي تَصِيرُ طَعَامًا فَالزَّكَاةُ تُؤْخَذُ مِنْهَا بَعْدَ أَنْ تُحْصَدَ وَتَصِيرَ حَبًّا قَالَ وَالنَّاسُ مُصَدَّقُونَ فِي ذَلِكَ وَيُقْبَلُ مِنْهُمْ فِي ذَلِكَ مَا دَفَعُوا ৯৪১و سُئِلَ مَالِك مَتَى يُخْرَجُ مِنْ الزَّيْتُونِ الْعُشْرُ أَوْ نِصْفُهُ أَقَبْلَ النَّفَقَةِ أَمْ بَعْدَهَا فَقَالَ لَا يُنْظَرُ إِلَى النَّفَقَةِ وَلَكِنْ يُسْأَلُ عَنْهُ أَهْلُهُ كَمَا يُسْأَلُ أَهْلُ الطَّعَامِ عَنْ الطَّعَامِ وَيُصَدَّقُونَ بِمَا قَالُوا فَمَنْ رُفِعَ مِنْ زَيْتُونِهِ خَمْسَةُ أَوْسُقٍ فَصَاعِدًا أُخِذَ مِنْ زَيْتِهِ الْعُشْرُ بَعْدَ أَنْ يُعْصَرَ وَمَنْ لَمْ يُرْفَعْ مِنْ زَيْتُونِهِ خَمْسَةُ أَوْسُقٍ لَمْ تَجِبْ عَلَيْهِ فِي زَيْتِهِ الزَّكَاةُ.৯৪৩قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ زَرْعَهُ وَقَدْ صَلَحَ وَيَبِسَ فِي أَكْمَامِهِ فَعَلَيْهِ زَكَاتُهُ وَلَيْسَ عَلَى الَّذِي اشْتَرَاهُ زَكَاةٌ وَلَا يَصْلُحُ بَيْعُ الزَّرْعِ حَتَّى يَيْبَسَ فِي أَكْمَامِهِ وَيَسْتَغْنِيَ عَنْ الْمَاءِ. ৯৪৪قَالَ مَالِك فِي قَوْلِ اللهِ تَعَالَى { وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ } أَنَّ ذَلِكَ الزَّكَاةُ وَقَدْ سَمِعْتُ مَنْ يَقُولُ ذَلِكَ. ৯৪৫قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ أَصْلَ حَائِطِهِ أَوْ أَرْضَهُ وَفِي ذَلِكَ زَرْعٌ أَوْ ثَمَرٌ لَمْ يَبْدُ صَلَاحُهُ فَزَكَاةُ ذَلِكَ عَلَى الْمُبْتَاعِ وَإِنْ كَانَ قَدْ طَابَ وَحَلَّ بَيْعُهُ فَزَكَاةُ ذَلِكَ عَلَى الْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهَا عَلَى الْمُبْتَاعِ.

মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ

যায়তুনের যাকাত সম্পর্কে ইবনু শিহাব (র)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এতে উশর বা উৎপন্ন শস্যের এক-দশমাংশ যাকাত ধার্য হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, যায়তুন দানা পিষানোর পর পাঁচ অছক পরিমাণ তৈল হলে তাতে ‘উশর’ হবে। পরিমাণে পাঁচ অছক হতে কম হলে তাতে আর যাকাত ধার্য হবে না।মালিক (র) বলেন, যায়তুনের (যাকাতের) হুকুম খেজুরে প্রযোজ্য হুকুমের মতই। বৃষ্টি, ঝর্ণা ও শিকড় দ্বারা সংগৃহীত পানি দ্বারা উৎপন্ন যায়তুন শস্যে ‘উশর’ বা এক-দশমাংশ, আর সেচ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শস্যে ‘নিসফে উশর’ বা এক-বিংশতিতমাংশ যাকাত ধার্য হবে। যায়তুনের অনুমান করে বৃক্ষস্থ শস্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে ধার্য হবে না।মালিক (র) বলেন, যে সমস্ত শস্য মানুষ সংরক্ষণ করে এবং ভক্ষণ করে, সে সমস্ত শস্য যদি বৃষ্টি, ঝর্ণা বা কেবল মূলের সাহায্যে সংগৃহীত পানি দ্বারা উৎপন্ন হয়, তবে পাঁচ অছক পরিমাণ হইলে তাতে উশর বা এক-দশমাংশ, আর সেচ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হলে এক-বিংশতিতমাংশ যাকাত ধার্য হবে; পাঁচ অছক হতে বেশি হলে বর্ধিত হার অনুপাতে তার যাকাত প্রদান করতে হবে।মালিক (র) বলেন, গম, যব, ভুট্টা, বুট, ধান মসুরি, মাষ, সিম, তিল ইত্যাদি শস্য যা ভোজ্যদ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় তার সব কিছুতেই শস্য-কর্তন ও মাড়াইয়ের পর যাকাত ধার্য হয়ে থাকে।তিনি বলেন, এসব বিষয়ে শস্য মালিকের ভাষ্য সত্য বলে বিবেচ্য হবে এবং মালিক যাই প্রদান করে তাই যাকাতে গ্রহণ করা হবে।ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যায়তুন তৈলের যাকাত (উশর) পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের পর যা অবশিষ্ট থাকবে তা হতে আদায় করা হবে, না ব্যয়ের পূর্বের সর্বমোট পরিমাণ হতে আদায় করা হবে ? তিনি তখন উত্তরে বললেন, ব্যয়ের দিকে দৃষ্টি দেয়া হবে না। খাদ্য-শস্যের বেলায় যেমন মালিককে পরিমাণ জিজ্ঞেস করা হয়, এখানেও তদ্রুপ মালিককে উৎপন্ন যায়তুনের মোট পরিমাণ জিজ্ঞেস করে নেওয়া হবে এবং তাকে সত্যবাদী বলে গণ্য করা হবে। মোট কথা, পাঁচ অছক পরিমাণ যায়তুন উৎপন্ন হলে যায়তুন দানা পিষার পর তা হতে ‘উশর’ বা এক-দশমাংশ যাকাত উসুল করা হবে, আর পাঁচ অছক পরিমাণ না হলে তাাতে যাকাত ধার্য হবে না।ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, শস্য পক্ব ও থোড় শুষ্ক হওয়ার পর কেউ যদি তা বিক্রয় করে তবে বিক্রেতার উপর যাকাত ধার্য হবে, ক্রেতার উপর ধার্য হবে না।মালিক (র) বলেন, শস্য, থোড় শুষ্ক না হওয়া পর্যন্ত এবং পানির প্রয়োজন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা বিক্রয় করা বৈধ নয়।আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেন [১] : وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ এ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে মালিক (র) বলেছেন, এখানে হক অর্থ হল উহার যাকাত প্রদান করে দেয়া। বিজ্ঞ আলিমগণকে আমি উক্ত অনুরূপ তফসীর করতে শুনেছি।মালিক (র) বলেন, ‘বদয়িসালাহ্’ বা পরিপক্ব হওয়ার পূবেই যদি কেউ স্বীয় বাগান বা শস্যক্ষেত্রের মূল বৃক্ষ বিক্রয় করে দেয় তবে উহার যাকাত ক্রেতার উপর ধার্য হবে। আর পরিপক্ব হওয়ার পর যদি বিক্রয় করে তবে ঐ শস্য বা ফলের যাকাত বিক্রেতার উপর ধার্য হবে। তবে বিক্রয়ের সময় যদি বিক্রেতা শর্ত করে যে, যাকাত ক্রেতাকে আদায় করতে হবে তবে তা ক্রেতার উপরই ধার্য হবে।

[১] ‘আর ফসল তুলবার দিনে তার দেয় প্রদান করবে।’ ৬ : ১৪১

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন