৭. অধ্যায়ঃ
ধুম্র প্রসঙ্গ
সহিহ মুসলিম : ৬৯৬০
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৬৯৬০
মাসরূক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর কাছে এক লোক এসে বলল, আমি মাসজিদে এক লোককে দেখে এসেছি, সে কুরআনের ইচ্ছামাফিক তাফসীর করছে। সে (আরবী) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলছে যে, কিয়ামাতের দিন ধোঁয়া এসে লোকেদের আবৃত করে ফেলবে ও তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে ফেলবে, এমনকি এতে লোকেদের সর্দির ন্যায় অবস্থা হয়ে যাবে। এ কথা শুনে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি যে বিষয়ে জানে সে তা বর্ণনা করবে। আর যে না জানে তার বলা অনুচিত, আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। কেননা অজানা বিষয় সম্বন্ধে আল্লাহই অধিক জ্ঞাত, এ কথা বলাই মানুষের পরিপূর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ। কারণ এ বিষয়টি তখনই সংঘটিত হয়েছিল, যখন কুরায়শরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অবাধ্যতা করেছিল। তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে দু‘আ করেন যেন ইউসুফ (‘আঃ)-এর সময়ের সাত বছরের মতো অভাব-অনটন তাদের উপর নিপতিত হয়। এরপর তাদের উপর অভাব-অনটন এবং ক্ষুধার কষ্ট এমনভাবে নিপতিত হলো যে, কেউ আকাশের দিকে তাকালে সে ধূম্রাচ্ছন্ন দেখত, এমনকি তারা হাড্ডি খাওয়া শুরু করল। তখন জনৈক লোক এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, হে আল্লাহর রসূল! মুযার গোত্রের জন্য আল্লাহর কাছে মার্জনা প্রার্থনা করুন। তারা নিশ্চয় ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি বললেন, মুযার গোত্রের জন্য তুমি তো দুর্দান্ত সাহসী। রাবী বলেন, তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করলেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করলেন, “আমি তোমাদের শাস্তি কিছু সময়ের জন্য বিরত রেখেছি। তোমরা তো তোমাদের আগের অবস্থায়ই প্রত্যাবর্তন করবে”- (সূরাহ্ আদ্ দুখান ৪৪ : ১৫)।রাবী বলেন, অতঃপর তাদের উপর অনবরত বৃষ্টি হলো। এরপর তাদের যখন স্বচ্ছলতা ফিরে এলো তখন তারা আবার আগের অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করল। তখন আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করলেন, “অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সেদিনের, যেদিন ধূম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং সেটা মানব জাতিকে ঢেকে ফেলবে। এ হবে কঠিন শাস্তি”- (সূরাহ্ আদ্ দুখান ৪৪ : ১০-১১)। যেদিন আমি তোমাদের শক্তভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি তোমাদেরকে ‘আযাব দিবই”- (সূরাহ্ আদ্ দুখান ৪৪ : ১৬)। রাবী বলেন, অর্থাৎ- বাদ্রের দিন। (ই.ফা. ৬৮১০, ই.সে. ৬৮৬৪)