৩০. অধ্যায়ঃ
রাগের মুহুর্তে যে নিজেকে বশ করে তার মর্যাদা এবং কিসের সাহায্যে রাগ দূরীভূত হয়
সহিহ মুসলিম : ৬৫৩৫
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৬৫৩৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا تَعُدُّونَ الرَّقُوبَ فِيكُمْ " . قَالَ قُلْنَا الَّذِي لاَ يُولَدُ لَهُ . قَالَ " لَيْسَ ذَاكَ بِالرَّقُوبِ وَلَكِنَّهُ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ يُقَدِّمْ مِنْ وَلَدِهِ شَيْئًا " . قَالَ " فَمَا تَعُدُّونَ الصُّرَعَةَ فِيكُمْ " . قَالَ قُلْنَا الَّذِي لاَ يَصْرَعُهُ الرِّجَالُ . قَالَ " لَيْسَ بِذَلِكَ وَلَكِنَّهُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তোমাদের মাঝে কাউকে নিঃসন্তান বলে মনে করো? বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, যার সন্তান জন্মায় না তাকেই নিঃসন্তান মনে করি। তিনি বললেন, সে ব্যক্তি মূলতঃ নিঃসন্তান নয়। বরং সে লোকই নিঃসন্তান, যে তার কোন সন্তানকে আগে পাঠায়নি (অর্থাৎ-যার জীবিতাবস্থায় তার সন্তান মৃত্যুবরণ করেনি)। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের মাঝে কাকে বীর বিক্রম বলে গণ্য করো? আমরা বললাম, যাকে মানুষেরা কুস্তিতে ঠকাতে পারে না। তিনি বললেন, মূলতঃ সে বীর বিক্রম নয়; বরং (প্রকৃত বীর সে-ই) যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।১ (ই.ফা. ৬৪০৩, ই.সে. ৬৪৫৪)
১(আরবী)-এর মৌলিক অর্থ আরব বিশ্বের কাছে “যার সন্তান নেই”। হাদীসের মর্মার্থ হচ্ছে তোমরা নিশ্চয়ই বিশ্বাস কর কারো মৃত্যুতে বিপদগ্রস্ত, শোকাহত, দুঃখিত ব্যক্তি নিঃসন্তান নয়। বরং জীবিতাবস্হায় যার কোন সন্তান মারা যায়নি, ফলে সাওয়াবের আশায় ধৈর্যের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়নি, সেই প্রকৃতপক্ষে নিঃসন্তান। নিশ্চয়ই ধৈর্যের ও মুসীবাতের সাওয়াব লিখা হয়।