৪. অধ্যায়ঃ
সাগরের মৃত হালাল
সহিহ মুসলিম : ৪৮৯২
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৪৮৯২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، حوَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَّرَ عَلَيْنَا أَبَا عُبَيْدَةَ نَتَلَقَّى عِيرًا لِقُرَيْشٍ وَزَوَّدَنَا جِرَابًا مِنْ تَمْرٍ لَمْ يَجِدْ لَنَا غَيْرَهُ فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ يُعْطِينَا تَمْرَةً تَمْرَةً - قَالَ - فَقُلْتُ كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ بِهَا قَالَ نَمَصُّهَا كَمَا يَمَصُّ الصَّبِيُّ ثُمَّ نَشْرَبُ عَلَيْهَا مِنَ الْمَاءِ فَتَكْفِينَا يَوْمَنَا إِلَى اللَّيْلِ وَكُنَّا نَضْرِبُ بِعِصِيِّنَا الْخَبَطَ ثُمَّ نَبُلُّهُ بِالْمَاءِ فَنَأْكُلُهُ قَالَ وَانْطَلَقْنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ فَرُفِعَ لَنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ كَهَيْئَةِ الْكَثِيبِ الضَّخْمِ فَأَتَيْنَاهُ فَإِذَا هِيَ دَابَّةٌ تُدْعَى الْعَنْبَرَ قَالَ قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَيْتَةٌ ثُمَّ قَالَ لاَ بَلْ نَحْنُ رُسُلُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَدِ اضْطُرِرْتُمْ فَكُلُوا قَالَ فَأَقَمْنَا عَلَيْهِ شَهْرًا وَنَحْنُ ثَلاَثُ مِائَةٍ حَتَّى سَمِنَّا قَالَ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا نَغْتَرِفُ مِنْ وَقْبِ عَيْنِهِ بِالْقِلاَلِ الدُّهْنَ وَنَقْتَطِعُ مِنْهُ الْفِدَرَ كَالثَّوْرِ - أَوْ كَقَدْرِ الثَّوْرِ - فَلَقَدْ أَخَذَ مِنَّا أَبُو عُبَيْدَةَ ثَلاَثَةَ عَشَرَ رَجُلاً فَأَقْعَدَهُمْ فِي وَقْبِ عَيْنِهِ وَأَخَذَ ضِلَعًا مِنْ أَضْلاَعِهِ فَأَقَامَهَا ثُمَّ رَحَلَ أَعْظَمَ بَعِيرٍ مَعَنَا فَمَرَّ مِنْ تَحْتِهَا وَتَزَوَّدْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَشَائِقَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " هُوَ رِزْقٌ أَخْرَجَهُ اللَّهُ لَكُمْ فَهَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَىْءٌ فَتُطْعِمُونَا " . قَالَ فَأَرْسَلْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ فَأَكَلَهُ .
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ‘উবাইদাহ্কে আমাদের আমীর বানিয়ে আমাদেরকে একটি অভিযানে পাঠালেন কুরায়শদের একটি কাফিলাকে রোধ করার জন্য। তিনি আমাদের সাথে এক থলে খেজুর দিয়ে দিলেন। এছাড়া আমাদের অন্য কিছু দেয়ার মত পেলেন না। আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) আমাদেরকে একটি করে খেজুর দিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, এই একটি মাত্র খেজুর দিয়ে আপনারা কিভাবে কী করতেন? আমি বললাম, আমরা তা চুষতাম- যেভাবে শিশুরা চুষে থাকে। তারপর পানি পান করতাম, আর এটাই আমাদের দিবারাত্রের জন্য যথেষ্ট হতো। এছাড়া এমরা আমাদের লাঠি দিয়ে গাছের পাতা পেড়ে পানিতে তা ভিজিয়ে নিয়ে তা খেতাম। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আমরা সাগর উপকূল দিয়ে চলতে লাগলাম। হঠাৎ সমুদ্রোপকূলে উঁচু ঢিবির মতো কী যেন একটি আমাদের সামনে ভেসে উঠলো। আমরা সেটির কাছে গিয়ে দেখলাম, তা একটি জন্তু, যাকে ‘আম্বর’ বলে অভিহিত করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) বললেন, এতো মৃত জন্তু। তারপর বললেন, না, বরং আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রেরিত দূত এবং আমরা আল্লাহর পথেই আছি। এখন তো তোমরা প্রাণান্তকর অবস্থায় রয়েছ , সুতরাং তোমরা তা খেতে পারো। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর দীর্ঘ একমাস আমরা তিনশ’ লোক তা খেয়েই কাটালাম এবং আমরা মোটাতাজা হয়ে উঠলাম। রাবী বলেন, আমি দেখেছি, কিভাবে কলসীর পর কলসী ভরে তৈল (চর্বি) আমরা তার চক্ষুর কোটর থেকে বের করি এবং তার দেহ থেকে এক একটি ষাঁড় পরিমাণ গোশ্তের টুকরা কেটে নেই। তারপর আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) আমাদের মধ্যকার তের জনকে ডেকে নিলেন এবং ঐ জন্তুটির চোখের কোটরে বসিলে দিলেন। তিনি জন্তুটির পাঁজরের একটি অস্থি তুলে দাঁড় করিয়ে আমাদের সর্বাধিক বড় উটটির উপর হাওদা চড়ালেন আর সে উটটি দিব্যি তার নিচ দিয়ে অতিক্রম করে গেল। তারপর অবশিষ্ট গোশত আমরা সিদ্ধ করে আমাদের পাথেয় রূপে নিয়ে আসলাম। যখন আমরা মাদীনায় ফিরে এলাম তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি তাঁকে জানালাম। তখন তিনি বরলেন, এটা হচ্ছে রিয্ক যা আল্লাহ তোমাদের জন্যই বের করেছিলেন। তোমাদের কাছে তার অবিশিষ্ট কিছু গোশ্ত আছে কি আমাকে তা থেকে দিতে পারবে? বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে তার কিছু অংশ পাঠালাম এবং তিনি তা খেলেন। (ই.ফা. ৪৮৪৩, ই.সে. ৪৮৪৪)