৯৪. অধ্যায়ঃ
হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই মুসলিমদের একাধিক দল জান্নাতে প্রবেশ করার প্রমাণ
সহিহ মুসলিম : ৪১৫
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৪১৫
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ أَيُّكُمْ رَأَى الْكَوْكَبَ الَّذِي انْقَضَّ الْبَارِحَةَ قُلْتُ أَنَا . ثُمَّ قُلْتُ أَمَا إِنِّي لَمْ أَكُنْ فِي صَلاَةٍ وَلَكِنِّي لُدِغْتُ . قَالَ فَمَاذَا صَنَعْتَ قُلْتُ اسْتَرْقَيْتُ . قَالَ فَمَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ قُلْتُ حَدِيثٌ حَدَّثَنَاهُ الشَّعْبِيُّ . فَقَالَ وَمَا حَدَّثَكُمُ الشَّعْبِيُّ قُلْتُ حَدَّثَنَا عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ حُصَيْبٍ الأَسْلَمِيِّ أَنَّهُ قَالَ لاَ رُقْيَةَ إِلاَّ مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ . فَقَالَ قَدْ أَحْسَنَ مَنِ انْتَهَى إِلَى مَا سَمِعَ وَلَكِنْ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عُرِضَتْ عَلَىَّ الأُمَمُ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ وَمَعَهُ الرُّهَيْطُ وَالنَّبِيَّ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَالرَّجُلاَنِ وَالنَّبِيَّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ إِذْ رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُمْ أُمَّتِي فَقِيلَ لِي هَذَا مُوسَى صلى الله عليه وسلم وَقَوْمُهُ وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ . فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ الآخَرِ . فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي هَذِهِ أُمَّتُكَ وَمَعَهُمْ سَبْعُونَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ " . ثُمَّ نَهَضَ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ فَخَاضَ النَّاسُ فِي أُولَئِكَ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ صَحِبُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الإِسْلاَمِ وَلَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ . وَذَكَرُوا أَشْيَاءَ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا الَّذِي تَخُوضُونَ فِيهِ " . فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ " هُمُ الَّذِينَ لاَ يَرْقُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ " . فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . فَقَالَ " أَنْتَ مِنْهُمْ " ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . فَقَالَ " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ " .
হুসায়ন ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সা’ঈদ ইবনু যুবায়র-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, তোমাদের মধ্য হতে কেউ রাতে যে তারকাটি বিচ্যুত হয়েছিল তা দেখেছ কি? আমি বললাম, আমি দেখেছি। অবশ্য আমি রাতের সলাতে রত ছিলাম না; আমাকে বিচ্ছু দংশন করেছিল। সা’ঈদ বললেন, দংশন করার পর তুমি কী করেছিলে? আমি বললাম, ঝাড়ফুঁক করিয়েছি। তিনি বললেন, তোমাকে এ ঝাঁড়ফুক গ্রহণে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? আমি বললাম, সে হাদীস যা আমাদেরকে শা’বী বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, শা’বী কী হাদীস বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, শা’বী বুরাইদাহ্ ইবনু হুসায়ন আল আসলামী (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, কুদৃষ্টি বা বিচ্ছু দংশন ব্যতীত অন্য বিষয়ে ঝাড়ফুঁক করানো উচিত নয়। তিনি বললেন, ভাল বলেছেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন যে, স্বপ্নে আমার সামনে সকল নাবীদের উপস্থিত করা হয়। অতঃপর তখন কোন কোন নাবীকে দেখলাম যে, তাঁর সঙ্গে ছোট্ট একটি দল রয়েছে; আর কাউকে দেখলাম, তাঁর সঙ্গে একজন কিংবা দু’জন লোক আবার কেউ এমনও ছিলেন যে, তাঁর সাথে কেউ নেই। হঠাৎ আমার সামনে এক বিরাট দল দেখা গেল। মনে হলো, এরা আমার উম্মাত। তখন আমাকে বলা হলো, ইনি মূসা (‘আঃ) ও তাঁর উম্মাত; তবে আপনি ওপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন। আমি ওদিকে তাকালাম, দেখি বিরাট একদল, আবার বলা হলো, আপনি ওপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন, (আমি ওদিকে তাকিয়ে দেখলাম) এক বিরাট দল। বলা হলো, এরা আপনার উম্মাত। এদের মধ্যে সত্তর হাজার এমন লোক আছে যারা শাস্তি ব্যতীত ও হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ বলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ালেন, অতঃপর তাঁর ঘরে চলে গেলেন। তারা উপস্থিত সহাবাগণ তখন এ হিসাব ও ‘আযাববিহীন জান্নাতে প্রবেশকারী কারা হবেন? এ নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। কেউ বললেন, তাঁরা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবা। কেউ বললেন, তারা সে সব লোক যারা ইসলামের উপর জন্মলাভ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কোন প্রকার শির্ক করেনি এবং তাঁরা বহু জিনিসের উল্লেখ করলেন। তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের কাছে বেরিয়ে এলেন এবং বললেনঃ তোমরা কী নিয়ে আলোচনা করছিলে? সবাই বিষয়টি (খুলে) বললেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের বললেনঃ এরা সে সব লোক যারা ঝাড়ফুঁক করে না বা তা গ্রহণও করে না, পাখি উড়িয়ে শুভাশুভের লক্ষণ মানে না বরং সর্বদাই আল্লাহর উপর নির্ভর করে। তখন ‘উক্কাশাহ্ ইবনু মিহসান (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আমার জন্যে দু’আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাদেরই একজন থাকবে। তারপর আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্যও দু’আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর : এ সুযোগ লাভ ‘উক্কাশাহ্ তোমার চাইতে অগ্রগামী হয়ে গেছে। (ই.ফা. ৪২০; ই.সে. ৪৩৪)