৪. অধ্যায়ঃ
উমরার [২১] বর্ণনা
[২১] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, ‘উমরাহ্ বলা হয় কোন ঘর কাউকে তার জীবনভর ব্যবহার করার জন্যে প্রদান করা । (মুখতাসার শারহে মুসলিম-/আল্লামা ওয়াহীদুয্যামান, ৪র্থ খণ্ড, ২৪৮ পৃঃ)
সহিহ মুসলিম : ৪০৯০
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৪০৯০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَعْمَرَتِ امْرَأَةٌ بِالْمَدِينَةِ حَائِطًا لَهَا ابْنًا لَهَا ثُمَّ تُوُفِّيَ وَتُوُفِّيَتْ بَعْدَهُ وَتَرَكَتْ وَلَدًا وَلَهُ إِخْوَةٌ بَنُونَ لِلْمُعْمِرَةِ فَقَالَ وَلَدُ الْمُعْمِرَةِ رَجَعَ الْحَائِطُ إِلَيْنَا وَقَالَ بَنُو الْمُعْمَرِ بَلْ كَانَ لأَبِينَا حَيَاتَهُ وَمَوْتَهُ . فَاخْتَصَمُوا إِلَى طَارِقٍ مَوْلَى عُثْمَانَ فَدَعَا جَابِرًا فَشَهِدَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْعُمْرَى لِصَاحِبِهَا فَقَضَى بِذَلِكَ طَارِقٌ ثُمَّ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَأَخْبَرَهُ ذَلِكَ وَأَخْبَرَهُ بِشَهَادَةِ جَابِرٍ فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ صَدَقَ جَابِرٌ . فَأَمْضَى ذَلِكَ طَارِقٌ . فَإِنَّ ذَلِكَ الْحَائِطَ لِبَنِي الْمُعْمَرِ حَتَّى الْيَوْمِ .
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাদীনার জনৈকা মহিলা তার একটা বাগান তার এক পুত্রকে আজীবনের জন্যে দান করেন। পরে পুত্রটি মারা যায় এবং তারপরে মহিলাটিও মারা যায়। পুত্র নিজে একটি সন্তান রেখে যায়। আর তার ছিল কয়েকজন ভাই, যারা দানকারিণীর পুত্র। তারপর দানকারিণীর পুত্র বললো , বাগানটি আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। আর যাকে দান করা হয়েছিল তার পুত্ররা বললো বরং এ ছিল আমার পিতার, তার জীবদ্দশায় ও মৃত অবস্থায়। এরপর তারা ‘উসমান (রাঃ)- এর আযাদকৃত গোলাম তারিক (রহঃ)- এর নিকট ফায়সালা চাইলো। তিনি জাবির (রাঃ)- কে ডেকে পাঠালেন। জাবির (রাঃ) সাক্ষ্য দেন, জীবিতকালীন দান তারই প্রাপ্য, যাকে দান করা হয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নির্দেশ দিয়েছেন। তারিক তদনুযায়ী ফায়সালা দেন। তারপর তিনি খালীফা 'আবদুল মালিককে এ ঘটনা লিখে জানান এবং জাবিরের সাক্ষ্য দান সম্পর্কেও তাঁকে অবগত করেন। 'আবদুল মালিক বলেন, জাবির (রাঃ) সত্যই বলেছেন। পরে তারিক (রহঃ) এ হুকুম জারি করেন। কাজেই বাগানটি আজ পর্যন্ত দানকৃত ব্যক্তির বংশধরদের অধিকারে রয়েছে। (ই.ফা. ৪০৫২, ই. সে. ৪০৫১)