১৪. অধ্যায়ঃ
শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করা হারাম কিন্তু ‘আরায়া [১১] হারাম নয়
[১১] ‘আরায়া হলো, বাগানের মালিক কিছু গাছ কোন গরীবকে প্রদান করল। সে গাছগুলোতে তাজা রসালো খেজুর রয়েছে। এমতাবস্থায় সে গবীব লোকটির দ্বারা বাগানের মালিক বা অন্য কারো কাছে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করে দেয়াকে ‘আরায়া’ বলে। এটা জায়েয, তবে ৫ ওয়াকাক বা ১৮ মণ ৩০ কেজির বেশি হতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম- শারহে নাবাবী, ২য় খণ্ড, ৮ পৃ:।
সহিহ মুসলিম : ৩৭৭৫
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩৭৭৫
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا . قَالَ يَحْيَى الْعَرِيَّةُ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ ثَمَرَ النَّخَلاَتِ لِطَعَامِ أَهْلِهِ رُطَبًا بِخَرْصِهَا تَمْرًا .
যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়া পদ্ধতির ক্রয়-বিক্রয়ে অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।ইয়াহ্ইয়া বলেন, আরায়া হলো নিজের পরিবারবর্গকে তাজা রসাল খেজুর খাওয়াবার জন্যে গাছের ঝুলন্ত খেজুর অনুমান দ্বারা পরিমাণ করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে খরিদ করে রাখা। (ই.ফা. ৩৭৩৯, ই.সে. ৩৭৩৯)