৬. অধ্যায়ঃ
বায়িন ত্বলাক্বপ্রাপ্ত[৬১] স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই
[৬১] যে ত্বলাক্ব প্রদানের পর ‘ইদ্দাত চলাকালীন সময়ে নতুন বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায়, এমন ত্বলাক্ব কে বায়িন ত্বলাক্ব বলে।
সহিহ মুসলিম : ৩৫৯২
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩৫৯২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ - أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، أُخْتَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَبَا حَفْصِ بْنَ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيَّ طَلَّقَهَا ثَلاَثًا ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ لَهَا أَهْلُهُ لَيْسَ لَكِ عَلَيْنَا نَفَقَةٌ . فَانْطَلَقَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي نَفَرٍ فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ فَقَالُوا إِنَّ أَبَا حَفْصٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا فَهَلْ لَهَا مِنْ نَفَقَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَتْ لَهَا نَفَقَةٌ وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ " . وَأَرْسَلَ إِلَيْهَا " أَنْ لاَ تَسْبِقِينِي بِنَفْسِكِ " . وَأَمَرَهَا أَنْ تَنْتَقِلَ إِلَى أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهَا " أَنَّ أُمَّ شَرِيكٍ يَأْتِيهَا الْمُهَاجِرُونَ الأَوَّلُونَ فَانْطَلِقِي إِلَى ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى فَإِنَّكِ إِذَا وَضَعْتِ خِمَارَكِ لَمْ يَرَكِ " . فَانْطَلَقَتْ إِلَيْهِ فَلَمَّا مَضَتْ عِدَّتُهَا أَنْكَحَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ.
যাহ্হাক ইবনু ক্বায়স-এর ভগ্নী ফাত্বিমাহ্ বিনতু ক্বায়স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তার স্বামী আবূ হাফ্স ইবনু মুগীরাহ্ (রাঃ) তাকে একত্রে তিন ত্বলাক্ব প্রদান করেন। এরপর তিনি ইয়ামান চলে যান। তখন তার( আবূ ‘আমর-এর) পরিবারের লোকজন তাকে (ফাত্বিমাকে) বলল, তোমার জন্য আমাদের দায়িত্বে কোন খোরপোষ নেই। এরপর খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাযি:) একদল লোকসহ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলেন। তখন তিনি মায়মূনাহ্ (রাঃ) এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। তারা বললেন, (ইয়া রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)!) আবূ হাফস্ তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দিয়েছেন। এখন তার স্ত্রী কি খোরপোষ পাবে?! বললেনঃ না, তার জন্য কোন খোরপোষ নেই; তার উপর ‘ইদ্দাত পালন করা ওয়াজিব। তিনি তাকে বলে পাঠালেন যে, তুমি আমাকে না জানিয়ে বিবাহের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। তিনি তাকে ‘ইদ্দাত পালনের জন্য উম্মু শারীক–এর ঘরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি তাকে লোক মারফত জানিয়ে দিলেন যে, উম্মু শারীক এমন একজন মহিলা যার কাছে প্রাথমিক হিজরতকারী সাহাবীগণ যাওয়া আসা করে থাকেন। সুতরাং তুমি অন্ধ ইবনু উম্মু মাকতূম এর ঘরে চলে যাও। কারণ সেখানে তুমি প্রয়োজনবোধে তোমার দোপাট্টা (ওড়না) নামিয়ে রাখলে সে তোমাকে দেখতে পাবে না। যখন তার ‘ইদ্দাত পূর্ণ হল তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসামাহ্ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে তার বিয়ে দিয়ে দিলেন। ( ই.ফা. ৩৫৬২, ই.সে. ৩৫৬২)