৩. অধ্যায়ঃ

মুত্‌‘আহ্‌ বিবাহ বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, অতঃপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং ক্বিয়ামাত পর্যন্ত স্থির থাকবে

সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩৩০৬

وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قَالَ عَطَاءٌ قَدِمَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مُعْتَمِرًا فَجِئْنَاهُ فِي مَنْزِلِهِ فَسَأَلَهُ الْقَوْمُ عَنْ أَشْيَاءَ ثُمَّ ذَكَرُوا الْمُتْعَةَ فَقَالَ نَعَمِ اسْتَمْتَعْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ‏.

‘আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ‘উমরাহ্ পালন করতে এলেন। তখন আমরা তাঁর আবাসে তাঁর নিকট গেলাম। লোকেরা তাঁর নিকট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করল। অতঃপর তারা মুত’আহ্ সম্পর্কে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, হাঁ, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ)-এর যুগে মুত্’আহ(বিবাহ) করেছি।[৪৭] (ই.ফা. ৩২৮১, ই.সে. ৩২৭৯)

[৪৭] পরিভাষায় একটি নিদির্ষ্টি কালের জন্য মুহরের বিনিময়ে কোন মহিলার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা। নিদির্ষ্ট সময় পার হওয়ার সাথে সাথেই বিবাহের চুক্তি বাতিল গণ্য হয় এবং ত্বলাক্ব প্রদান ব্যতীতই স্ত্রী বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায়।ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে আরবদের মাঝে এ ধরনের বিবাহের ব্যাপক প্রচলন ছিল এবং ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় ইসলামী শারী’আতেও এটা জায়িয ছিল। আরব সমাজে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য কুপ্রথার ন্যায় মুত্’আহ্ বিবাহের মতো কুপ্রথাকেও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধীরে ধীরে বিলুপ্তি সাধন করেন। ৭ম হিজরীতে ১ম বার নিষিদ্ধ করেন, এরপর আওত্বাস যুদ্ধের সময় তিনদিনের জন্য অনুমতি দেন এবং পরে হারাম ঘোষণা করেন।অতঃপর বিদায় হজ্জের সময় চিরকালের জন্য ইহা হারাম ঘোষণা করেন। অথচ এ হাদিসে দেখা যাচ্ছে, লোকেরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবু বাক্র (রাযিঃ) ও ‘উমার (রাযিঃ)-এর যুগে মুত’আহ বিবাহ করেছেন। এখানে উদ্দেশ্য হল যে সকল লোকদের কাছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মুত্’আহ্ বিবাহ রহিত হওয়ার ফরমান পৌঁছেনি তারা মুত্’আহ্ বিবাহ করেছেন। অন্যথায় যাদের কাছে রহিত হওয়ার খবর পৌঁছেছিল তারা একে হারাম বিশ্বাস করতেন এবং এ থেকে পরহেয করতেন। সুতরাং না জানার কারনে মুত্’আহ করা দলিল হতে পারে না, যদিও তারা জীবনের শেষ পর্যন্ত তা করুন না কেন। বরং তাদের কথা ও কাজ দলিল হিসেবে গ্রহীত হবে যাদের নিকট বিদায় হজ্জের সময়কার নিষেধাজ্ঞা পৌঁছেছে। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকাল ফরমান এবং এ সময়ের মধ্যে তা বৈধ হওয়ার কথা বলেন নি আর এই অবস্থায় তিনি পরপারে পাড়ি জমান। সুতরাং এর প্রতি প্রত্যাবর্তন এবং আমল করা জরুরী।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন