৬৮. অধ্যায়ঃ
হাজ্জ পালনকারী ও অন্যান্যের জন্য কা’বাহ্ ঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং সলাত আদায় করা, এর সকল পাশে দু’আ করা মুস্তাহাব
সহিহ মুসলিম : ৩১২৮
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩১২৮
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ بَكْرٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَسَمِعْتَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ إِنَّمَا أُمِرْتُمْ بِالطَّوَافِ وَلَمْ تُؤْمَرُوا بِدُخُولِهِ . قَالَ لَمْ يَكُنْ يَنْهَى عَنْ دُخُولِهِ وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا دَخَلَ الْبَيْتَ دَعَا فِي نَوَاحِيهِ كُلِّهَا وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ حَتَّى خَرَجَ فَلَمَّا خَرَجَ رَكَعَ فِي قُبُلِ الْبَيْتِ رَكْعَتَيْنِ . وَقَالَ " هَذِهِ الْقِبْلَةُ " . قُلْتُ لَهُ مَا نَوَاحِيهَا أَفِي زَوَايَاهَا قَالَ بَلْ فِي كُلِّ قِبْلَةٍ مِنَ الْبَيْتِ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
আমি ‘আত্বা (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদেরকে কেবল ত্বওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়নি?” ‘আত্বা বললেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তো কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশ নিষেধ করেননি, বরং আমি তাকে বলতে শুনেছিঃ উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এর সকল পাশে দু’আ করেছেন কিন্তু বের হওয়া পর্যন্ত কোন সলাত আদায় করেননি। তিনি বের হয়ে এসে বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে দু’রাক’আত সলাত আদায় করেছেন এবং বলেছেন, এ হ’ল ক্বিবলাহ্। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এর পার্শ্ব বলতে কী বুঝায়? তা দিয়ে কি কোণ বুঝানো হয়েছে? তিনি (‘আত্বা) আরও বললেন, এর সমস্ত পার্শ্ব ও কোণই ক্বিবলাহ্। [৩০] (ই.ফা. ৩১০৩, ই.সে. ৩১০০)
[৩০] “এটাই ক্বিবলাহ্” অর্থাৎ ক্বিয়ামাত পর্যন্ত এর দিকে মুখ করে সলাত আদায় করা হবে । এটা আর রহিত হবে যেরূপভা্বে পূর্বে বায়তুল মুকাদ্দাস ক্বিবলাহ্ ছিল পরে তা রহিত করা হয় । অথবা উদ্দেশ্য এটাও হতে পারে যে, কা’বাহ্ ঘরে ইমাম কোথায় দাঁড়াবে এটা শিখানো । ইমাম যেন এ ঘরের অন্যান্য কোণ বা কিনারায় না দাঁড়ায় । প্রত্যেক দিকেই দাঁড়ায়ে সলাত আদায় বৈধ হলেও এ কা’বাই ক্বিবলাহ্; এর আশেপাশে নির্মিত অন্য কোন মাসজিদ নয় ।উপর্যুক্ত বর্ণনাসমূহের মধ্যে মুহাদ্দিসগণ বিলাল (রাঃ)-এর বর্ণনা গ্রহণ করেছেন, যে বর্ণনাতে কা’বার অভ্যন্তরে সলাত আদায়ের কথা বর্ণিত হয়েছে । উসামাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনা গ্রহণ করেননি । কেননা বিলাল (রাঃ)-এর বর্ণনায় একটি অতিরিক্ত বিষয় প্রমাণিত হয় । আর ঐ ধরনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বর্ণনা নেতিবাচক বর্ণনা্র উপর অগ্রাধিকার পায় । আর এখানে যে সলাতে রুকূ’-সাজদাহ্ বিদ্যমান তাই উদ্দেশ্য । এজন্যই ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, তথায় কয় রাক’আত সলাত আদায় করা হয়েছিল তা জিজ্ঞেস করতে আমি ভুলে গেছি । আর উসামাহ্ (রাঃ) সলাত আদায় করতে না দেখার কারণ হতে পারে যে, তিনি দু’আ যিকিরে মত্ত ছিলেন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে দূরে অবস্থান করছিলেন । অন্যদিকে বিলাল (রাঃ)-এর বিপরীত, কেননা স্বয়ং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে ছিলেন, কা’বার দরজা বন্ধ করায় সেখানে আঁধার নেমেছিল এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সে সলাত খুব হালকা ছিল । কা’বাহ্ অভ্যন্তরে সলাত আদায় বিষয়ে ‘আলিমদের মাঝে মতবিরোধ আছে । ইমাম শাফি, সাওরী ও জমহুরের মতে এতে ফারয, নাফ্ল, বিত্র সকল সলাতই আদায় জায়িয আর এটাই শক্তিশালী কথা ।