১৭. অধ্যায়ঃ
ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, ক্বিরান ও তামাত্তু’ হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়িয, একত্রে ‘উমরাহ ও হাজ্জের ইহরাম বাঁধাও জায়িয এবং ক্বিরান হাজ্জ পালনকারী কখন ইহরাম মুক্ত হবে
সহিহ মুসলিম : ২৮০৯
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৮০৯
حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ أَبُو أَيُّوبَ الْغَيْلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ، بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ نَذْكُرُ إِلاَّ الْحَجَّ حَتَّى جِئْنَا سَرِفَ فَطَمِثْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ " . فَقُلْتُ وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ خَرَجْتُ الْعَامَ قَالَ " مَا لَكِ لَعَلَّكِ نَفِسْتِ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " هَذَا شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ افْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي " . قَالَتْ فَلَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ " اجْعَلُوهَا عُمْرَةً " . فَأَحَلَّ النَّاسُ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ - قَالَتْ - فَكَانَ الْهَدْىُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَذَوِي الْيَسَارَةِ ثُمَّ أَهَلُّوا حِينَ رَاحُوا - قَالَتْ - فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ طَهَرْتُ فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَفَضْتُ - قَالَتْ - فَأُتِينَا بِلَحْمِ بَقَرٍ . فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقَالُوا أَهْدَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ . فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَرْجِعُ النَّاسُ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ بِحَجَّةٍ قَالَتْ فَأَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْدَفَنِي عَلَى جَمَلِهِ - قَالَتْ - فَإِنِّي لأَذْكُرُ وَأَنَا جَارِيَةٌ حَدِيثَةُ السِّنِّ أَنْعُسُ فَتُصِيبُ وَجْهِي مُؤْخِرَةُ الرَّحْلِ حَتَّى جِئْنَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَأَهْلَلْتُ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ جَزَاءً بِعُمْرَةِ النَّاسِ الَّتِي اعْتَمَرُوا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা কেবল হাজ্জের উদ্দেশে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমরা যখন ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছলাম, আমার মাসিক ঋতু শুরু হয়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি যদি এ বছর হাজ্জ করতে না আসতাম! তিনি বললেন, কী হয়েছে তোমার? সম্ভবতঃ তুমি ঋতুবতী হয়েছো? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা এটি আদাম (আঃ)-এর কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তুমি হাজ্জ পালনকারীগণ যা করে, তাই কর কিন্তু পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করো না। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি যখন মাক্কায় পৌঁছলাম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-তাঁর সাহাবীগণদের বললেন, তোমরা ‘উমরার জন্য ইহরাম বাঁধ। যাদের সাথে হাদী বা কুরবানীর পশু ছিল, তারা ব্যতীত সকলে ‘উমরার ইহরাম বাঁধল। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বকর (রাঃ), ‘উমার (রাঃ) ও অন্যান্য স্বচ্ছল লোকদের সাথে কুরবানীর পশু (হাদী) ছিল, তারা (ইতোপূর্বে যারা ইহরাম খুলে ফেলেছিল, মিনার দিকে) অগ্রসর হবার প্রাক্কালে পুনরায় (হাজ্জের) ইহরাম বাঁধল। তিনি বলেন, আমি কুরবানীর দিন পবিত্র হলাম এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশে ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ [১৮] করলাম। আমাদের জন্য গরুর গোশ্ত পাঠানো হ’ল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এগুলো কী? তারা বলল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিণীদের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছেন। যখন হাসবার রাত এলো, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! লোকেরা হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ পালন করে প্রত্যাবর্তন করছে, আর আমি শুধু হাজ্জ করে প্রত্যাবর্তন করছি। রাবী বলেন, তিনি বলেন, তিনি ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তিনি আমাকে তার উটের পেছন দিকে বসিয়ে রওনা হলেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি ছিলাম অল্প বয়স্কা এবং আমার মনে আছে যে, তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে আমার মাথা বারবার পালানের খুঁটির সাথে আঘাত খাচ্ছিল। এভাবে আমরা তান’ঈম পৌঁছলাম। সেখান থেকে আমি আবার ‘উমরার ইহরাম বাঁধলাম- যা লোকেরা ইতোপূর্বে আদায় করেছে। (ই.ফা. ২৭৮৬, ই.সে. ২৭৮৪)
[১৮] ত্বওয়াফে যিয়ারাত, যা ১০ই অন্যথায় ১১ ও ১২ তারিখে আদায় করতে হয়। এটি ফার্য ও হাজ্জের একটি রুকন।