৩৮. অধ্যায়ঃ

কাবীরাহ গুনাহ এবং এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ

সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ১৬০

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بُكَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ - ثَلاَثًا - الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَمَازَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ ‏.‏

আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের কাবীরাহ গুনাহ [৪০] সম্পর্কে বলব না? তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। (তারপর বললেন, সেগুলো হলো-(১) আল্লাহর সাথে শারীক করা; (২) পিতামাতার অবাধ্য হওয়া; (৩) মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া কিংবা কথা বলা। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং (শেষোক্ত) কথাটি বারবার বলতে লাগলেন। এমন কি আমরা মনে মনে বলছিলাম, আহা তিনি যদি থামতেন। (ই.ফা. ১৬১; ই.সে. ১৬৭)

[৪০] কবীরা গুনাহের বর্ণনাঃ ইমাম নাবাবী বলেন, আলিমদের এ ব্যাপারে মতবিরোধ আছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে জিনিস সম্পর্কে আল্লাহ নিষেধ করছেন, তা কাবীরাহ গুনাহ। আবূ ইসহাক ও কাযী আয়ায বলেন, তত্ত্বান্বেষীগণ এটা গ্রহণ করেছেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। কাবীরাহ গুনাহ এমন কাজকে বলা হয় যাতে আল্লাহ জাহান্নাম, গোস্বা, অভিসম্পাত আর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন আর এ জাতীয় শব্দ আরো আছে। তাবি’ঈ হাসান বাসরী হতে এটাই বর্ণিত হয়েছে। আর কেউ বলেন, যে পাপের দরুন আল্লাহ পরকালে জাহান্নামের ওয়া’দা করেন কিংবা ইহকালে শাস্তির কথা।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন