১.অধ্যায়ঃ
মুসাফিরদের সলাত এবং তার ক্বস্র (সংক্ষিপ্ত করা)
সহিহ মুসলিম : ১৪৬৪
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ১৪৬৪
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ - قَالَ - فَصَلَّى لَنَا الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ وَأَقْبَلْنَا مَعَهُ حَتَّى جَاءَ رَحْلَهُ وَجَلَسَ وَجَلَسْنَا مَعَهُ فَحَانَتْ مِنْهُ الْتِفَاتَةٌ نَحْوَ حَيْثُ صَلَّى فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ . قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا لأَتْمَمْتُ صَلاَتِي يَا ابْنَ أَخِي إِنِّي صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ ثُمَّ صَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ { لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} .
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,আমি মাক্কার কোন একটি পথে ‘আসিম ইবনু ‘উমার-এর সাথে চলছিলাম। এ সময় তিনি আমাদের সাথে করে যুহরের সলাত আদায় করলেন এবং মাত্র দু’ রাক‘আত আদায় করলেন। তারপর তিনি তাঁর কাফিলার মধ্যে ফিরে আসলেন। আমরাও তাঁর সাথে ফিরে আসলাম। তিনি সেখানে বসে পড়লে আমরাও তাঁর সাথে বসে পড়লাম। এ সময় যে স্থানে তিনি সলাত আদায় করেছিলেন সে স্থানে তাঁর দৃষ্টি পড়লে কিছু সংখ্যক লোককে সেখানে দাঁড়ানো দেখতে পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এরা ওখানে কী করছে? আমি বললাম, তারা সুন্নাত পড়ছে। তিনি এ কথা শুনে বললেনঃ ভাতিজা, আমাদেরকে যদি সুন্নাত আদায় করতে হ’ত তাহলে আমি ফরয সলাত ও পূর্ণ আদায় করতাম। আমি সফরে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে থেকে দেখেছি আমৃত্যু তিনি দু’ রাক’আতের অধিক আদায় করেননি। আমি সফরে আবূ বাক্রের সাথে থেকে দেখেছি আল্লাহ তাকে ওফাত দান না করা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। আমি সফরে ‘উমারের সাথে দেখেছি তিনি দু’রাক‘আত সলাতই আদায় করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “আল্লাহর রসূলের জীবনে তোমাদের অনুসরনের উত্তম নমুনা রয়েছে”-(সূরাহ আল আহ্যাব ৩৩ : ২১)। (ই.ফা. ১৪৪৯,ই.সে ১৪৫৮)