পরিচ্ছেদঃ
১ থেকে ১০০ নং হাদিস
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ : ৫৯
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৫৯
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
যখনই তোমরা কিতাবুল্লাহ হতে কিছু প্রাপ্ত হবে তখনই তার উপর ‘আমল করবে। তা ছেড়ে দিতে তোমাদের কারো ওযর চলবে না। যদি কিতাবুল্লাহতে (সমাধান) না থাকে, তাহলে আমার নিকট হতে (সমাধান হিসাবে) প্রাপ্ত অতীত সুন্নাহকে গ্রহণ করতে হবে। যদি আমার পক্ষ হতে অতীত কোন সুন্নাতে সমাধান না মিলে, তাহলে আমার সাহাবীগণ যা বলেছেন তা গ্রহণ করবে। কারণ আমার সাহাবীগণ আসমানের নক্ষত্রের ন্যায়। অতএব তোমরা যে কোন জনের কথা গ্রহণ করলেই হেদায়েত প্রাপ্ত হবে। আমার সাহাবীগণের মতভেদ তোমাদের জন্য রহমত স্বরূপ।হাদীসটি জাল।হাদীসটি খাতীব বাগদাদী “কিফায়াহ ফী ইলমির রিওয়াহ্” গ্রন্থে (পৃঃ ৪৮) এবং আবুল আব্বাস আল-আসাম তার “হাদীস” গ্রন্থে (নং ১৪২) বর্ণনা করেছেন। এছাড়া তার থেকে বাইহাক্বী “আল-মাদখাল” গ্রন্থে (নং ১৫২), দাইলামী (৪/৭৫) ও ইবনু আসাকির (৭/৩১৫/২) সুলায়মান ইবনু আবী কারীমা সূত্রে যুওয়াইবির হতে, আর তিনি যহ্হাক হতে বর্ণনা করেছেন।আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি অত্যন্ত দুর্বল।ইবনু আবী হাতিম তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (২/১/১৩৮) সুলায়মান ইবনু আবী কারীমা সম্পর্কে বলেছেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল।যুওয়াইবির ইবনু সা’ঈদ আল-আযদী মাতরূক, যেমনভাবে দারাকুতনী, নাসাঈ ও অন্য মুহাদ্দিসগণ বলেছেন। ইবনুল মাদীনী তাকে নিতান্তই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।আর যহ্হাক; তিনি হচ্ছেন ইবনু মাজাহিম আল-হিলালী। ইবনু আব্বাস (রাঃ)-র সাথে তার সাক্ষাত ঘটেনি।বাস্তব কথা হচ্ছে এ যে, হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে যুওয়াইবির-এর কারণে খুবই দুর্বল। যেমনভাবে সাখাবী “আল-মাকাসিদুল হাসানা” গ্রন্থে বলেছেন। কিন্তু অর্থের দিক দিয়ে এটি বানোয়াট।সুয়ূতী বলেন যে, হাদীসটির মধ্যে কিছু ফায়েদাহ রয়েছে। কথা হচ্ছে যেটি হাদীস হিসেবে সাব্যস্তই হচ্ছে না সেটিতে ফায়েদা খুঁজার যৌক্তিকতা কোথায়?