পরিচ্ছেদঃ

১ থেকে ১০০ নং হাদিস

জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৪৫

বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ যিয়ারত করল, অথচ আমাকে যিয়ারত করলনা, সে আমার ব্যাপারে রূঢ় আচরণ করল।হাদীসটি জাল।হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” (৩/২৩৭) গ্রন্থেএ কথাই বলেছেন। সাগানি “আল-আহাদীসুল মাওযূ’আত” গ্রন্থে (পৃঃ৬), অনুরূপভাবে যারাকশী ও শাওকানী “আল-ফাওয়ায়েদুল মাজমূ’য়াহ ফিল আহাদীসিল মাওযূ‘আত” গ্রন্থে (পৃঃ৪২) হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। এর সমস্যা হচ্ছে মুহাম্মদ ইবনু মুহাম্মদ ইবনে নু‘মান।ইবনু আদী (৭/২৪৮০) ওইবনু হিব্বান “আয-যু‘য়াফা” গ্রন্থে (৩/৭৩) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তার সূত্রে ইবনুল জাওযী “মাওযূ‘আত” গ্রন্থে (২/২১৭) উল্লেখ করেছেন। তারা উভয়ে (ইবনু আদী ও ইবনু হিব্বান) বলেছেনঃ মুহাম্মাদ নির্ভরযোগ্যদের উদ্বৃতিতে বড়সমস্যা (মিথ্যা) বহন করে আনতেন এবং দৃঢ় চেতাদের উদ্বৃতিতে উল্টা পাল্টা হাদীস বর্ণনা করতেন। দারাকুতনী বলেনঃ এ হাদীসটির সনদের মধ্যে দোষনীয় ব্যক্তি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে নু‘মান।এছাড়া হাদীসটি বানোয়াট হওয়ার প্রমাণ এটিও যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর ব্যাপারে রূঢ় আচরণ করা যদি কুফরী নাও হয় , তবুও তা বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে যে তাঁকে যিয়ারত করা ছেড়ে দিবে, সে বড় গুনাহে লিপ্ত হল। এমনটি হলে হাদীসটি যিয়ারত করাকে হজ্জের ন্যায় অপরিহার্য করে। অথচ যিয়ারত করা ওয়াজিব এমন কথা কোন মুসলিম ব্যক্তি বলেননি। যিয়ারত করা যদি নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যমও হয় তবুও তা আলেমদের মুসতাহাবের গন্ডি হতে আর বেশী কিছু হবেনা। অতএব কীভাবে তাঁর যিয়ারত পরিত্যাগকারী তাঁর সাথে রূঢ় আচরণকারী হয় এবং কীভাবে তাঁর থেকে বিমুখ হয়?

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন