জাল হাদিস

মোট হাদিস ১৭৫

যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রসূলের নামে বানোয়াট হাদীস তৈরী করে তবে তার হাদীসকে মাওযু বা বানোয়াট বলা হয় । বানোয়াট হাদীস সর্বতোভাবে পরিত্যাজ্য এবং তা বর্ণনা করা হারাম । হাদীস জালকারী খাটি মনে তাওবাহ করলেও তার হাদিস গ্রহণ করা হবে না ।

মাকতু মারফুজ

মোট হাদিস ০১

তাবিঈ বা তার পরের কোন ব্যক্তির কথা বা কাজকে বলা হয় ‘মাকতু ।

মুনকার

মোট হাদিস ১০০

মা’রূফ হাদীসের বিপরীতে অধিকতর দুর্বল হাদীসকে মুনকার বলা হয়। মুনকার হাদীস ক্রটিযুক্ত ।

শায মাকতু

মোট হাদিস ০১

একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির বর্ণনা যদি তার চেয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির বর্ণনা সাথে গড়মিল হয় (বিপরীত হয়) তাহলে তাকে শা''য বলা হয়। শা’য হাদীস সহীহ নয়। এটি হাদীস শাস্ত্রের জন্য দোষণীয়। তাবিঈ বা তার পরের কোন ব্যক্তির কথা বা কাজকে বলা হয় ‘মাকতু ।

শায

মোট হাদিস ৭৭

একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির বর্ণনা যদি তার চেয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির বর্ণনা সাথে গড়মিল হয় (বিপরীত হয়) তাহলে তাকে শা''য বলা হয়। শা’য হাদীস সহীহ নয়। এটি হাদীস শাস্ত্রের জন্য দোষণীয়।

দুর্বল শায

মোট হাদিস ০২

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য।

দুর্বল মুনকার

মোট হাদিস ০৯

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য। মা’রূফ হাদীসের বিপরীতে অধিকতর দুর্বল হাদীসকে মুনকার বলা হয়। মুনকার হাদীস ক্রটিযুক্ত ।

দুর্বল মুনকাতি

মোট হাদিস ০১

হাদীসের সানাদে যে কোন স্থান থেকে বর্ণনাকারী বাদ পড়াকে মুনকাতি বলা হয় ।

দুর্বল মুদাল

কোনো হাদিস নেই

হাদীসের সানাদ থেকে ধারাবাহিকভাবে দু'' বা ততোধিক বর্ণনাকারী বাদ পড়ে গেলে তাকে মুদাল বলে ।

খুবই দুর্বল

মোট হাদিস ২১১

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য।

দুর্বল মাকতু

মোট হাদিস ১৯

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য। তাবিঈ বা তার পরের কোন ব্যক্তির কথা বা কাজকে বলা হয় ‘মাকতু ।

দুর্বল মাওকুফ

মোট হাদিস ৪৭

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য। সহাবীর কথা বা কর্ম বা সমর্থনকে বলা হয় মাওকুফ ।

দুর্বল হাদিস

মোট হাদিস ৩৩৫৫

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য। প্রধানতঃ দু''টি কারণে হাদীস প্রত্যাখ্যাত হয়। (১) সানাদ থেকে বর্ণনাকারী বাদ পড়ে যাওয়া, (২) বর্ণনাকারী সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকা । এই অভিযোগ বর্ণনাকারীর দ্বীনদারী সম্পর্কিত হতে পারে আবার আয়ত্বশক্তি সম্পর্কিতও হতে পারে। যঈফ হাদিস অগ্রহণযোগ্য হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।

সহিহ মওকুফ শায

মোট হাদিস ০১

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা''জ ও মু''আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ বা সহীহ লিযাতিহী বলা হয়। সহাবীর কথা বা কর্ম বা সমর্থনকে বলা হয় মাওকুফ। একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির বর্ণনা যদি তার চেয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির বর্ণনা সাথে গড়মিল হয় (বিপরীত হয়) তাহলে তাকে শা''য বলা হয়। শা’য হাদীস সহীহ নয়। এটি হাদীস শাস্ত্রের জন্য দোষণীয়।

মাক্বতু

মোট হাদিস ০৪

তাবিঈ বা তার পরের কোন ব্যক্তির কথা বা কাজকে বলা হয় ‘মাকতু।

হাসান মাকতু

মোট হাদিস ১২

যে হাদীসের বর্ণনাকারীর স্মরণশক্তিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে কিন্তু সহীহ হাদীসের অবশিষ্ট চারটি শর্ত বহাল আছে তাকে হাসান লিযাতিহী হাদীস বলা হয়। তাবিঈ বা তার পরের কোন ব্যক্তির কথা বা কাজকে বলা হয় ‘মাকতু ।

হাসান মাওকুফ

মোট হাদিস ১৫

যে হাদীসের বর্ণনাকারীর স্মরণশক্তিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে কিন্তু সহীহ হাদীসের অবশিষ্ট চারটি শর্ত বহাল আছে তাকে হাসান লিযাতিহী হাদীস বলা হয়। সহাবীর কথা বা কর্ম বা সমর্থনকে বলা হয় মাওকুফ।

সহিহ মাকতু

মোট হাদিস ১১০

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা''জ ও মু''আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ হাদিস বলা হয়। তাবিঈ বা তার পরের কোন ব্যক্তির কথা বা কাজকে বলা হয় ‘মাকতু ।

সহিহ মাওকুফ

মোট হাদিস ১০৭

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা''জ ও মু''আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ হাদিস বলা হয়। সহাবীর কথা বা কর্ম বা সমর্থনকে বলা হয় মাওকুফ ।

সহিহ মারফু

মোট হাদিস ১৩

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা''জ ও মু''আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ হাদিস বলা হয়। নাবী (স.)-এর কথা বা কাজ বা সমর্থনকে বলা হয় মারফু হাদীস ।

হাসান লিগাইরিহি

মোট হাদিস ৯৫

অজ্ঞাত ব্যক্তির হাদীস একাধিক সানাদে বর্ণিত হলে তাকে হাসান লিগাইরিহী বলা হয়। এটি মূলত দুর্বল হাদীস । কিন্তু যখন তা একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয় এবং এর বর্ণনাকারী ফাসিক ও মিথ্যার দোষে দোষী না হয় তখন এটি অন্যান্য সূত্রগুলোর কারণে হাসান এর পর্যায়ভুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু এর মান হাসান লিযাতিহী''র চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের ।

হাসান হাদিস

মোট হাদিস ১৯২৪

যে হাদীসের বর্ণনাকারীর স্মরণশক্তিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে কিন্তু সহীহ হাদীসের অবশিষ্ট চারটি শর্ত বহাল আছে তাকে হাসান লিযাতিহী হাদীস বলা হয়।

হাসান সহিহ

মোট হাদিস ৮০৭

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা''জ ও মু''আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ বা সহীহ লিযাতিহী। যে হাদীসের বর্ণনাকারীর স্মরণশক্তিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে কিন্তু সহীহ হাদীসের অবশিষ্ট চারটি শর্ত বহাল আছে তাকে হাসান লিযাতিহী হাদীস বলা হয়।

সহিহ লিগাইরিহি

মোট হাদিস ২৮৬

যদি হাসান হাদীসের সানাদ সংখ্যা অধিক হয় তখন এর দ্বারা হাসান রাবীর মাঝে যে ঘাটতি ছিল তা পূরণ হয়ে যায়। এরূপ অধিক সানাদে বর্ণিত হাসান হাদীসকে সহীহ লিগাইরিহী বলা হয় ।

সহিহ হাদিস

মোট হাদিস ৩৯৬৬৬

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা'জ ও মু''আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ বা সহীহ লিযাতিহী। গ্রহণযোগ্য হাদীসগুলোর মধ্যে সহীহ লিযাতিহী'র মর্যাদা সবচেয়ে বেশী ।

সহিহ মুতওয়াতির

মোট হাদিস ০৮

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা''জ ও মু''আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ হাদিস বলা হয়। মুতাওয়াতির বলা হয় সেই হাদীসকে যেটিকে এতো অধিক সংখ্যক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন যে, তাদের পক্ষে সাধারনত মিথ্যার উপর একত্রিত হওয়া সম্ভব নয়।

নির্ণীত নয়

মোট হাদিস ১২০২

আমাদের অ্যাপে, যেসব হাদিসের মান পাওয়া যায়নি সেসব হাদিসের মান দেয়া হয়েছে "নির্ণীত নয়"। এসব হাদিসের মান জানতে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করে নিন।

অন্যান্য

মোট হাদিস ৯৪৫

আমাদের অ্যাপে যেসব হাদিসের মান সুনির্দিষ্ট নয়, বা অস্পষ্ট সেসব হাদিসের মান দেয়া হয়েছে "অন্যান্য"। এসব হাদিসের মান দেখতে হলে হাদিসের শেষ অংশে দেখুন এবং একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করে নিন।

দুর্বল মুরসাল

মোট হাদিস ০৭

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য। যে হাদীসের সানাদের শেষ ভাগে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (স.) ও তাবিঈর মাঝে ঘাটতি পড়ে গেছে তাকে মুরসাল বলা হয় । মুরসাল হাদীসকে প্রত্যাখ্যাত শ্রেণীর মধ্যে উল্লেখ করার কারণ হলো উহ্য বর্ণনাকারীর অবস্থা সম্পর্কে না জানা। কেননা, উক্ত উহ্য ব্যক্তি সহাবীও হতে পারেন, তাবিঈও হতে পারেন । দ্বিতীয় অবস্থায় তিনি দুর্বলও হতে পারেন, আবার নির্ভরযোগ্যও হতে পারেন ইত্যাদি। তবে যদি উক্ত তাবিঈ সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি কেবল নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ছাড়া কারো নিকট থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন না, তাহলে মুহাদিসীনে কিরাম হাদীসটিকে মুলতবী রাখার পক্ষপাতী। কেননা, তাতে সন্দেহ বহাল থেকে যায়।ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) ও ইমাম মালিক (রহঃ) মুরসাল হাদীস সন্দেহাতীতভাবে গ্রহণের মত দিয়েছেন। পক্ষান্তরে ইমাম শাফিঈ ও ইমাম আহমাদ (রহঃ) তা অগ্রহণযোগ্য বলেছেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেছেন, যদি তা অন্য একটি সানাদে বর্ণিত হবার কারণে শক্তি সঞ্চয় করে, চাই সে সানাদ মুত্তাসিল হোক বা মুরসাল; তবে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে । কেননা, এর দ্বারা উহ্য ব্যক্তি মৌলিকভাবে নির্ভরযোগ্য হবার সম্ভাবনা জোরদার হবে। হানাফীদের মধ্যে আবু বাকর রাজী ও মালিকীদের মধ্যে আবুল ওলীদ রাজী বর্ণনা করেছেনঃ কোন বর্ণনাকারী যদি নির্ভরযোগ্য এবং অনির্ভরযোগ্য সব ধরনের ব্যক্তি থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন, তাহলে তার মুরসাল বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হবে না, এ ব্যাপারে সকলেই একমত।

দুর্বল মারফু

মোট হাদিস ০১

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য। নাবী (স.)-এর কথা বা কাজ বা সমর্থনকে বলা হয় মারফু হাদীস।

দুর্বল মুযতারিব

মোট হাদিস ০২

যে হাদীসে হাসান লি গাইরিহী হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ বা দুর্বল হাদীস বলে। ইমাম নাবাবী বলেন, যে হাদীসের (বর্ণনাকারীর মাঝে) সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্ত পাওয়া যায় না তাকে যঈফ হাদীস বলে। এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য। যে হাদীসের রাবী হাদীসের মতন ও সনদকে বিভিন্ন প্রকারে বর্ণনা করেছেন সে হাদীসকে হাদীসে মুযতারাব বলা হয়। যে পর্যন্ত না এর কোনরূপ সমন্বয় সাধন সম্ভবপর হয়, সে পর্যন্ত এই হাদীসের ব্যাপারে অপেক্ষা করতে হবে অর্থাৎ এই ধরনের রিওয়ায়াত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।'

বাতিল

মোট হাদিস ০১

এরূপ হাদীস অগ্রহণযোগ্য।

মুরসাল

মোট হাদিস ০৮

যে হাদীসের সানাদের শেষ ভাগে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (স.) ও তাবিঈর মাঝে ঘাটতি পড়ে গেছে তাকে মুরসাল বলা হয় । মুরসাল হাদীসকে প্রত্যাখ্যাত শ্রেণীর মধ্যে উল্লেখ করার কারণ হলো উহ্য বর্ণনাকারীর অবস্থা সম্পর্কে না জানা । কেননা, উক্ত উহ্য ব্যক্তি সহাবীও হতে পারেন, তাবিঈও হতে পারেন । দ্বিতীয় অবস্থায় তিনি দুর্বলও হতে পারেন, আবার নির্ভরযোগ্যও হতে পারেন ইত্যাদি। তবে যদি উক্ত তাবিঈ সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি কেবল নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ছাড়া কারো নিকট থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন না, তাহলে মুহাদিসীনে কিরাম হাদীসটিকে মুলতবী রাখার পক্ষপাতী। কেননা, তাতে সন্দেহ বহাল থেকে যায়।ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) ও ইমাম মালিক (রহঃ) মুরসাল হাদীস সন্দেহাতীতভাবে গ্রহণের মত দিয়েছেন। পক্ষান্তরে ইমাম শাফিঈ ও ইমাম আহমাদ (রহঃ) তা অগ্রহণযোগ্য বলেছেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেছেন, যদি তা অন্য একটি সানাদে বর্ণিত হবার কারণে শক্তি সঞ্চয় করে, চাই সে সানাদ মুত্তাসিল হোক বা মুরসাল; তবে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে । কেননা, এর দ্বারা উহ্য ব্যক্তি মৌলিকভাবে নির্ভরযোগ্য হবার সম্ভাবনা জোরদার হবে। হানাফীদের মধ্যে আবু বাকর রাজী ও মালিকীদের মধ্যে আবুল ওলীদ রাজী বর্ণনা করেছেনঃ কোন বর্ণনাকারী যদি নির্ভরযোগ্য এবং অনির্ভরযোগ্য সব ধরনের ব্যক্তি থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন, তাহলে তার মুরসাল বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হবে না, এ ব্যাপারে সকলেই একমত ।

সহীহ লিযাতিহী

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসের সানাদ অবিচ্ছিন্ন হয়, বর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও পূর্ণ আয়ত্বশক্তির অধিকারী হন এবং সানাদটি শা'জ ও মু'আল্লাল না হয় সে হাদীসকে সহীহ বা সহীহ লিযাতিহী। গ্রহণযোগ্য হাদীসগুলোর মধ্যে সহীহ লিযাতিহী'র মর্যাদা সবচেয়ে বেশী ।

হাসান লিযাতিহী

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসের বর্ণনাকারীর স্মরণশক্তিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে কিন্তু সহীহ হাদীসের অবশিষ্ট চারটি শর্ত বহাল আছে তাকে হাসান লিযাতিহী হাদীস বলা হয়।

মু'আল্লাক

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসে সানাদের শুরু থেকে এক বা একাধিক বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে তাকে মু'আল্লাক বলা হয়।

মুনকাতি

কোনো হাদিস নেই

হাদীসের সানাদে যে কোন স্থান থেকে বর্ণনাকারী বাদ পড়াকে মুনকাতি বলা হয় ।

মু’দাল

কোনো হাদিস নেই

হাদীসের সানাদ থেকে ধারাবাহিকভাবে দু' বা ততোধিক বর্ণনাকারী বাদ পড়ে গেলে তাকে মুদাল বলে ।

মুদাল্লাস

কোনো হাদিস নেই

সানাদের ক্রটিকে গোপন করে তার প্রকাশ্যকে সুন্দর করে তুলে ধরা। অর্থাৎ বর্ণনাকারী সানাদে স্বীয় শায়খের নাম গোপন রেখে তার উপরস্থ শায়খের নামে এমনভাবে হাদীস বর্ণনা করা যেন তিনি নিজেই তার কাছ থেকে হাদীসটি শুনেছেন। অথচ তিনি তার কাছ থেকে শুনেননি। এরূপ হাদীসকে মুদাল্লাস বলা হয় । সানাদে তাদ্লীস বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে । মুদাল্লাস হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়। আর মুদাল্লিস ব্যক্তি যদি যঈফ হয় তাহলে তার সবই বাতিল ।

মা’রুফ

কোনো হাদিস নেই

যদি দু'জন দুর্বল বর্ণনাকারীর বর্ণনায় গড়মিল দেখা যায় তাহলে যার বর্ণনাটিকে প্রাধান্য দেয়া হয় তাকে মা’রুফ বলে। অন্য কথায় পরস্পর বিরোধী দুটি যঈফ হাদীসের মধ্যে যেটি অপেক্ষাকৃত কম যঈফ তাকে মা’রুফ বলা হয় ।

মাতরূক

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসের বর্ণনাকারী মিথ্যাবাদীতায় সন্দেহভাজন অর্থাৎ দৈনন্দিন ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলার কারণে যার হাদীস প্রত্যাখ্যান করা হয় তাকে মাতরূক বলে । তবে খাটি মনে তাওবাহ করে যদি সে সত্য পথ অবলম্বন করে বলে প্রমাণিত হয় তাহলে পরবর্তীতে তার হাদীস গ্রহণ করা যেতে পারে।

মুবহাম

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসের বর্ণনাকারী পরিচয় ভাল করে জানা যায়নি যার দ্বারা তার দোষগুণ যাচাই করা যায় তাকে মুবহাম বলা হয়। সহাবী ব্যতিত কারোর মুবহাম হাদীস গ্রহণযোগ্য নয় ।

মুদরাজ

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসের বর্ণনাকারী নিজের অথবা অন্য কারোর কথা সংযোজন করে দেয় তাকে মুদরাজ বলা হয় । মুদরাজ সানাদের ক্ষেত্রেও হতে পারে আবার মাতানের মধ্যেও হতে পারে। হাদীসে এরূপ সংযোজন করা হারাম ।

মুতাওয়াতির

কোনো হাদিস নেই

মুতাওয়াতির বলা হয় সেই হাদীসকে যেটিকে এতো অধিক সংখ্যক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন যে, তাদের পক্ষে সাধারনত মিথ্যার উপর একত্রিত হওয়া সম্ভব নয়।

খবর ওয়াহিদ

কোনো হাদিস নেই

আভিধানিক অর্থে সেই হাদীসকে বলা হয় যেটিকে একজন ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন। আর পারিভাষিক অর্থে সেই হাদীসকে খবর ওয়াহিদ বলা হয় যার মধ্যে মুতাওয়াতির হাদীসের শর্তাবলী একত্রিত হয়নি। এই খবর ওয়াহিদ তিন প্রকারঃ (ক) মাশহুরঃ আভিধানিক অর্থে যে হাদীস মানুষের মুখে মুখে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যদিও সেটি মিথ্যা হয় সেটিকেই মাশহর বলা হয়। আর পারিশ্রমিক অর্থে সেই হাদীসকে মাশহর বলা হয় যেটি তিন বা ততোধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন। তবে তার (মাশহুর) স্তরটি মুতাওয়াতিরের স্তর পর্যন্ত পৌঁছেনি।(খ) 'আযীযঃ সেই হাদীসকে বলা হয় যার সানাদের প্রতিটি স্তরে দু'জন করে বর্ণনাকারী রয়েছে।(গ) গরীবঃ যে হাদীসের সানাদের কোন এক স্তরে মাত্র একজনে বর্ণনা করেছেন সে হাদীসটিকেই বলা হয় গরীব হাদীস ।

মওকুফ

কোনো হাদিস নেই

সহাবীর কথা বা কর্ম বা সমর্থনকে বলা হয় মাওকুফ ।

মুত্তাসিল

কোনো হাদিস নেই

যে মারফু বা মওকুফ-এর সনদটিতে কোন প্রকার বিচ্ছিন্নতা নেই তাকে মুত্তাসিল বলা হয়।

মাহফু্য

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসটি বেশি নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি তার চেয়ে কম নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির বিরোধিতা করে বর্ণনা করেছেন তাকে বলা হয় মাহফুয' হাদীস । এ হাদীস গ্রহণযোগ্য।

মাজহুল

কোনো হাদিস নেই

যে বর্ণনাকারীর সত্ত্ব বা গুণাবলী সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না তাকে মাজহুল বলা হয়। এরূপ বর্ণনাকারীর হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।

জাহালাত

কোনো হাদিস নেই

যে সানাদের কোন বর্ণনাকারীরী সত্ত্বা বা অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না সে সানাদটিকে জাহালাত (অজ্ঞতা) সম্বলিত সানাদ বলা হয়।

তাবে

কোনো হাদিস নেই

তাবে' বলা হয় সেই হাদীসকে যে হাদীসের বর্ণনাকারীগণ বাক্য এবং অর্থের দিক দিয়ে অথবা কেবল অর্থের দিক দিয়ে এককভাবে হাদীস বর্ণনাকারীদের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তবে হাদীসের মূল বর্ণনাকারী সহাবী একই ব্যক্তি হবেন।

শাহিদ

কোনো হাদিস নেই

শাহিদ বলা হয় সেই হাদীসকে যে হাদীসের বর্ণনাকারীগণ বাক্য এবং অর্থের দিক দিয়ে অথবা শুধু অর্থের দিক দিয়ে এককভাবে হাদীস বর্ণনাকারীদের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এতে হাদীসের মূল বর্ণনাকারী (সহাবী) ভিন্ন হবেন একই ব্যক্তি হবেন না।

মুতাবা’আত

কোনো হাদিস নেই

হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে বর্ণনাকারী অন্য বর্ণনাকারীর সাথে মিল রেখে বর্ণনা করলে তাকে বলা হয় মুতাবা'য়াত' । এটি দুই প্রকারঃ (ক) মুতাবা'আতু তাম্মাহঃ যদি সানাদের প্রথম অংশের বর্ণনাকারীর স্থলে অন্য বর্ণনাকারী মিলে যায়, তাহলে তাকে মুতাবা’আত তাম্মাহ বলা হয়। (খ) মুতাবা'আতু কাসিরাহঃ যদি সানাদের মাঝের কোন বর্ণনাকারীর স্থলে অন্য কোন বর্ণনাকারী মিলে যায় তাহলে তাকে মুতাবা'য়াতু কাসিরা' বলা হয় ।

মুসাহহাফ

কোনো হাদিস নেই

আভিধানিক অর্থে তাসহীফ বলা হয় লিখতে এবং পড়তে ভুল করাকে। পারিভাষিক অর্থে মুসাহহাফ বলা হয়ঃ শব্দ অথবা অর্থের দিক দিয়ে নির্ভরযোগ্যদের বর্ণনার বিরোধিতা করে হাদীসের শব্দে পরিবর্তন ঘটানোকে। তাসহীফ সানাদ ও মাতান উভয়ের মধ্যেই সংঘটিত হয়। সাধারণত শিক্ষক বা শায়খের নিকট শিক্ষা গ্রহণ না করে গ্রন্থরাজী হতে হাদীস গ্রহণকারী বর্ণনাকারী তাসহীফ-এর পতিত হয়ে থাকেন। হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ)-এর নিকট মুসাহহাফ বলা হয় নির্ভরযোগ্যদের বর্ণনার বিরোধিতা করে হাদীসের সানাদে ব্যক্তির নামের বা হাদীসের ভাষার কোন শব্দের অক্ষরের এক বা একাধিক নুকতাকে শব্দের আকৃতি ঠিক রেখে পরিবর্তন করাকে ।

হাদীস

কোনো হাদিস নেই

"নতুন, প্রাচীন ও পুরাতন এর বিপরীত বিষয়। এ অর্থে যে সব কথা, কাজ ও বস্ত্ত পূর্বে ছিল না, এখন অস্তিত্ব লাভ করেছে তাই হাদীস। এর আরেক অর্থ হলো: কথা। ফক্বীহগণের পরিভাষায় নাবী কারীম (ﷺ) আল্লাহ্‌র রাসূল হিসেবে যা কিছু বলেছেন, যা কিছু করেছেন এবং যা কিছু বলার বা করার অনুমতি দিয়েছেন অথবা সমর্থন জানিয়েছেন তাকে হাদীস বলা হয়। কিন্তু মুহাদ্দিসগণ এর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সম্পর্কিত বর্ণনা ও তার গুণাবলী সম্পর্কিত বিবরণকেও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেন। এ হিসেবে হাদীসকে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা ১। ক্বওলী হাদীস: কোন বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছেন, অর্থাৎ যে হাদীসে তাঁর কোন কথা বিবৃত হয়েছে তাকে ক্বওলী (বাণী সম্পর্কিত) হাদীস বলা হয়।২। ফে’লী হাদীস: মহানাবী (ﷺ)-এর কাজকর্ম, চরিত্র ও আচার-আচরণের ভেতর দিয়েই ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান ও রীতিনীতি পরিস্ফুট হয়েছে। অতএব যে হাদীসে তাঁর কোন কাজের বিবরণ উল্লেখিত হয়েছে তাকে ফে’লী (কর্ম সম্পর্কিত) হাদীস বলা হয়।৩। তাকরীরী হাদীস: সাহাবীগণের যে সব কথা বা কাজ নাবী কারীম (ﷺ)-এর অনুমোদন ও সমর্থন প্রাপ্ত হয়েছে, সে ধরনের কোন কথা বা কাজের বিবরণ হতেও শরীয়াতের দৃষ্টিভঙ্গি জানা যায়। অতএব যে হাদীসে এ ধরনের কোন ঘটনার বা কাজের উল্লেখ পাওয়া যায় তাকে তাকরীরী (সমর্থন মূলক) হাদীস বলে।"

সুন্নাহ

কোনো হাদিস নেই

হাদীসের অপর নাম সুন্নাহ্ (السنة) সুন্নাত শব্দের অর্থ চলার পথ, কর্মের নীতি ও পদ্ধতি। যে পন্থা ও রীতি নাবী কারীম (ﷺ) অবলম্বন করতেন তাকে সুন্নাত বলা হয়। অন্য কথায় রাসুলুল্লাহ (ﷺ) প্রচারিত উচ্চতম আদর্শই সুন্নাত। কুরআন মাজিদে মহত্তম ও সুন্দরতম আদর্শ (أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ) বলতে এই সুন্নাতকেই বুঝানো হয়েছে।

খবর

কোনো হাদিস নেই

হাদীসকে আরবী ভাষায় খবরও (خبر) বলা হয়। তবে খবর শব্দটি হাদীস ও ইতিহাস উভয়টিকেই বুঝায়।

আসার

কোনো হাদিস নেই

আসার শব্দটিও কখনও কখনও রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীসকে নির্দেশ করে। কিন্তু অনেকেই হাদীস ও আসার এর মধ্যে কিছু পার্থক্য করে থাকেন। তাঁদের মতে- সাহাবীগণ থেকে শরীয়াত সম্পর্কে যা কিছু উদ্ধৃত হয়েছে তাকে আসার বলে।

ইলমে হাদীসের কতিপয় পরিভাষা

কোনো হাদিস নেই

সাহাবী (صحابى): যিনি ঈমানের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবী বলা হয়।তাবেঈ (تابعى) : যিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোন সাহাবীর নিকট হাদীস শিক্ষা করেছেন অথবা অন্ততপক্ষে তাঁকে দেখেছেন এবং মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে তাবেঈ বলা হয়।তাবে-তাবেঈ (تابعى تابع) : যিনি কোন তাবেঈ এর নিকট হাদীস শিক্ষা করেছেন অথবা অন্ততপক্ষে তাঁকে দেখেছেন এবং মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে তাবে-তাবেঈ বলা হয়।মুহাদ্দিস (محدث) : যিনি হাদীস চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক হাদীসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাঁকে মুহাদ্দিস বলা হয়।শাইখ (شيخ) : হাদীসের শিক্ষাদাতা রাবীকে শায়খ বলা হয়।শাইখান (شيخان) : সাহাবীগনের মধ্যে আবূ বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ)- কে একত্রে শাইখান বলা হয়। কিন্তু হাদীস শাস্ত্রে ইমাম বুখারী (রাহি.) ও ইমাম মুসলিম (রাহি.)-কে এবং ফিক্বহ-এর পরিভাষায় ইমাম আবূ হানীফা (রাহি.) ও আবূ ইউসুফ (রাহি.)-কে একত্রে শাইখান বলা হয়। হাফিয (حافظ) : যিনি সনদ ও মতনের বৃত্তান্ত সহ এক লাখ হাদীস আয়ত্ত করেছেন তাঁকে হাফিয বলা হয়।হুজ্জাত (حجة) : অনুরূপভাবে যিনি তিন লক্ষ হাদীস আয়ত্ত করেছেন তাঁকে হুজ্জাত বলা হয়। হাকিম (حاكم) : যিনি সব হাদীস আয়ত্ত করেছেন তাকে হাকিম বলা হয়।রিজাল (رجال) : হাদীসের রাবী সমষ্টিকে রিজাল বলে। যে শাস্ত্রে রাবীগণের জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে তাকে আসমাউর-রিজাল বলা হয়।রিওয়ায়াত (رواية): হাদীস বর্ণনা করাকে রিওয়ায়াত বলে। কখনও কখনও মূল হাদীসকেও রিওয়ায়াত বলা হয়। যেমন- এই কথার সমর্থনে একটি রিওয়ায়াত (হাদীস) আছে।সনদ (سند): হাদীসের মূল কথাটুকু যে সূত্র পরম্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে সনদ বলা হয়। এতে হাদীস বর্ণনাকারীদের নাম একের পর এক সজ্জিত থাকে।মতন (متن): হাদীসে মূল কথা ও তার শব্দ সমষ্টিকে মতন বলে।

তা’লীক

কোনো হাদিস নেই

কোন কোন গ্রন্থকার হাদীসের পূর্ণ সনদ বাদ দিয়ে কেবল মূল হাদীস বর্ণনা করেছেন। এরূপ করাকে তা’লীক বলা হয়।

মুতাবি ও শাহিদ

কোনো হাদিস নেই

এক রাবীর হাদীসের অনুরূপ যদি অপর রাবীর কোন হাদীস পাওয়া যায় তবে দ্বিতীয় রাবীর হাদীসকে প্রথম রাবীর হাদীসের মুতাবি বলা হয়। যদি উভয় হাদীসের মূল রাবী অর্থাৎ সাহাবী একই ব্যক্তি না হয় তবে দ্বিতীয় ব্যক্তির হাদীসকে শাহিদ বলে। আর এইরূপ হওয়াকে শাহাদাত বলে। মুতাবা’আত ও শাহাদাত দ্বারা প্রথম হাদীসটির শক্তি বৃদ্ধি পায়।

মাওযূ

কোনো হাদিস নেই

যে হাদীসের রাবী জীবনে কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা কথা রটনা করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার বর্ণিত হাদীসকে মাওযূ‘ বা জাল হাদীস বলে। এরূপ হাদিস মানা নিষিদ্ধ।