কাতার সম্পর্কে

মোট হাদিস ০৯

জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ২২৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَوِّي صُفُوفَنَا فَخَرَجَ يَوْمًا فَرَأَى رَجُلاً خَارِجًا صَدْرُهُ عَنِ الْقَوْمِ فَقَالَ ‏"‏ لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَالْبَرَاءِ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ مِنْ تَمَامِ الصَّلاَةِ إِقَامَةُ الصَّفِّ ‏"‏ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُوَكِّلُ رِجَالاً بِإِقَامَةِ الصُّفُوفِ فَلاَ يُكَبِّرُ حَتَّى يُخْبَرَ أَنَّ الصُّفُوفَ قَدِ اسْتَوَتْ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ أَنَّهُمَا كَانَا يَتَعَاهَدَانِ ذَلِكَ وَيَقُولاَنِ اسْتَوُوا ‏.‏ وَكَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ تَقَدَّمْ يَا فُلاَنُ تَأَخَّرْ يَا فُلاَنُ ‏.‏

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাতারসমূহ সমান করে দিতেন। একদিন তিনি (ঘর হতে) বের হয়ে এসে দেখলেন, এক ব্যক্তির বুক কাতারের বাইরে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সারিগুলো সোজা করে দাঁড়াবে, অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের মুখমণ্ডলে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৯৯৪), বুখারী ও মুসলিম।

এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু সামুরা, বারাআ, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ, আনাস, আবূ হুরায়রা ও’ আয়িশাহ্‌ (রাঃ) হতেও বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ নু’মান ইবনু বাশীরের হাদীসটি হাসান সহীহ।নাবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ কাতার ঠিক করা নামায পরিপূর্ণ করার অন্তর্ভুক্ত।‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি কাতার ঠিক করার জন্য একজন লোক নিযুক্ত করতেন। যে পর্যন্ত না তাঁকে জানানো না হত যে, কাতার সোজা হয়েছে সে পর্যন্ত তিনি তাকবির (তাহরীমা) বলতেন না। উসমান এবং আলী (রাঃ) এদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতেন এবং তারা বলতেন, তোমরা সোজা হও। আলী (রাঃ) তো নাম ধরেই বলতেন, অমুক একটু আগাও, অমুক একটু পিছাও।’’

জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ২৩০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ أَخَذَ زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ بِيَدِي وَنَحْنُ بِالرَّقَّةِ فَقَامَ بِي عَلَى شَيْخٍ يُقَالُ لَهُ وَابِصَةُ بْنُ مَعْبَدٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ فَقَالَ زِيَادٌ حَدَّثَنِي هَذَا الشَّيْخُ أَنَّ رَجُلاً صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَالشَّيْخُ يَسْمَعُ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ وَابِصَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَقَالُوا يُعِيدُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُجْزِئُهُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَى حَدِيثِ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَيْضًا قَالُوا مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ يُعِيدُ ‏.‏ مِنْهُمْ حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى وَوَكِيعٌ ‏.‏ وَرَوَى حَدِيثَ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ غَيْرُ وَاحِدٍ مِثْلَ رِوَايَةِ أَبِي الأَحْوَصِ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ حُصَيْنٍ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هِلاَلاً قَدْ أَدْرَكَ وَابِصَةَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْحَدِيثِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ ‏.‏

হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যিয়াদ ইবনু আবুল যা’দ আমার হাত ধরলেন। এ সময়ে আমরা রাক্কা নামক জায়গায় ছিলাম। তিনি আমাকে এক মুরুব্বির নিকট নিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন আসাদ গোত্রের ওয়াবিসা ইবনু মা’বাদ (রাঃ)। যিয়াদ বললেন, আমাকে এই মুরুব্বি বলেছেন, এক ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিল। মুরুব্বি লোকটি শুনছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আবার নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন। সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(১০০৪)।

এ অনুচ্ছেদে ‘আলী ইবনু শাইবান ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ওয়াবিসার হাদীসটি হাসান। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা মাকরূহ বলেছেন। তাঁরা আরো বলেছেন, কেউ এভাবে নামায আদায় করলে তাকে আবার নামায আদায় করতে হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এ মত গ্রহণ করেছেন। অপর দল বলেছেন, নামায হয়ে যাবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এমত গ্রহণ করেছেন। কূফাবাসীদের একদল ওয়াবিসার হাদীসের ভিত্তিতে বলেছেন, সারির পিছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলে তা আবার আদায় করতে হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন হাম্মাদ, ইবনু আবূ লাইলা ও ওয়াকী’।হিলাল ইবনু ইয়াসাফের নিকট হতে প্রাপ্ত হুসাইনের হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমন আবুল আহওয়াস যিয়াদ ইবনু আবুল যাদ হতে, তিনি ওয়াবিসা হতে বর্ণনা করেছেন। হুসাইনের হাদীস হতে জানা যায়, হিলাল ওয়াবিসার সাক্ষাত পেয়েছেন। এ ব্যাপারে হাদীস বিশারদদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। কিছু লোক বলেছেন, হিলালের নিকট হতে ‘আমর ইবনু মুরার হতে বর্ণিত হাদীসটি বেশি সহীহ। আবার কিছু লোক বলেছেন, হিলালের নিকট হতে হুসাইনের বর্ণিত হাদীসটি অধিক সহীহ্‌। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ শেষের বর্ণনাটিই বেশি সহীহ। কেননা এই বর্ণনাটি হিলাল ছাড়াও অন্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৪১৪

وَعَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رُصُّوا صُفُوفَكُمْ، وَقَارِبُوا بَيْنَهَا، وَحَاذُوا بِالْأَعْنَاقِ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- তোমাদের কাতার গুলোকে খুব ভালভাবে একে অপরের সাথে মিশিয়ে নাও এবং এক কাতারকে অন্য কাতারের কাছাকাছি করো এবং কাঁধগুলোকে পরস্পরের বরাবর রাখ। ইবনু হিব্বান সহীহ বলেছেন। [৪৫৫]

[৪৫৫] আবূ দাঊদ ৬৬৭, ৬৬৮, ৬৬৯, বুখারী ৭২৩, ৭১৮, মুসলিম ৪৩৩, নাসায়ী ৮১৪, ৮১৫, ৮৪৫, ইবনু মাজাহ ৯৯৩, আহমাদ ১২৪৭৩, ১৩২৫২, ১৩৩৬৬, দারেমী ১২৬৩। এই হাদীসে ওয়ালীদ বিন বুকাইর আবূ জান্নাব নামক কবি রয়েছে। ইমাম দারাকুতনি তবে মাতরূক বলেছেন। আরেক জন রয়েছে যার নাম আবদুল্লাহ বিন মুহম্মাদ আল আদারী নামক দুর্বল রাবী রয়েছে। তাকে ইবিনুল তাফে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন। ইমাম বুখারী তাকে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন। আবূ হাতিম আর রাযী ও অনুরূপ বলেছেন। দুরাকুতনী ও তাকে মাতরূক হিসাবে চিহ্ণিত করেছেন। আরেক জন রাবী আছে (আরবী) বলেন তার হাদীস পরিত্যজ্য। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল ও ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন তারা বলেন, তিনি শক্তিশালী রাবীদের অন্তরভুক্ত নয়। সুতরাং হাদীস শাস্ত্রের মানদন্ডে হাদীসটি (আরবী) । হাদীসটি ইবনু মাজাতে এককভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইবনু হিবাবানের বর্ণনায় (আরবী) এর স্থলে (আরবী)শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এবং সকলেই (আবূ দাঊদ, নাসাঈ, ইবনু হিব্বান) আরো বৃদ্ধি করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, (আরবী) সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয় আমি শায়ত্বানকে কাতারের ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করতে দেখছি, তাকে একটি ছোট কালো ছাগলের ন্যায় মনে হচ্ছিল।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন