পরিচ্ছেদ - ১৬১

মৃতের জন্য তাকে দাফন করার পর দুআ এবং তার জন্য দুআ, ইস্তিগফার ও কুরআন পাঠের জন্য তার কবরের নিকট কিছুক্ষণ বসে থাকা প্রসঙ্গে

রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ৯৫৪

وَعَنْ عَمرِو بنِ العَاصِ رضي الله عنه، قَالَ: إِذَا دَفَنْتُمُونِي، فَأَقِيمُوا حَوْلَ قَبْرِي قَدْرَ مَا تُنْحَرُ جَزُورٌ، وَيُقَسَّمُ لَحمُهَا حَتَّى أَسْتَأنِسَ بِكُمْ، وَأعْلَمَ مَاذَا أُرَاجِعُ بِهِ رُسُلَ رَبِّي. رواه مسلم. وَقَدْ سبق بطوله.قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللهُ: وَيُسْتَحَبُّ أنْ يُقْرَأ عِنْدَهُ شَيْءٌ مِنَ القُرآنِ، وَإنْ خَتَمُوا القُرآنَ عِنْدَهُ كَانَ حَسَنَاً.

আম্র ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

‘তোমরা যখন আমাকে সমাধিস্থ করবে, তখন আমার কবরের আশ-পাশে তোমরা ততক্ষণ অবস্থান করবে, যতক্ষণ একটা উট যবেহ ক’রে তার মাংস বণ্টন করতে লাগে । যেন আমি তোমাদের পেয়ে নিঃসঙ্গতা বোধ না করি এবং জেনে নিই যে, আমি আমার প্রভুর দূতগণকে কী জবাব দিচ্ছি ।’

।’ (মুসলিম ১২১, আহমাদ ১৭৩২৬, ১৭৩৫৭) এ বর্ণনাটি পূর্বে ৭১৬ নম্বরে বিস্তারিতভাবে গত হয়ে গেছে ।ইমাম শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কবরের নিকট কুরআনের কিছু অংশ পড়া উত্তম । যদি তার নিকট কুরআন খতম করে, তবে তা উত্তম হবে । (আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম শাফেঈ‘ উক্ত কথা কোথায় বলেছেন জানি না এবং তা তার উদ্ধৃতিতে সাব্যস্ত হওয়ার ব্যাপারে আমার নিকট বড় ধরনের সন্দেহ রয়েছে । কিভাবে সাব্যস্ত হবে যেখানে তার মাযহাব হচ্ছে এই যে, যদি কেউ কুরআন তিলাওয়াত করে তার সাওয়াব মৃত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে হাদিয়্যাহ্ দেয় তাহলে তা তাদের নিকট পৌঁছবে না । যেমনটি হাফিয ইবনু কাসীর ( وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى ) (সূরা আন্নাজমঃ ৩৯) আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন । শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ তার ‘‘আলইকতিযা’’ গ্রন্থে ইমাম শাফে‘ঈ হতে তা সাব্যস্ত না হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে বলেছেনঃ ইমাম শাফে‘ঈ হতে এ মাসআলার ব্যাপারে কোন কথা সাব্যস্ত হয়নি । কারণ তা তার নিকট বিদ‘আত ছিল । আর ইমাম মালেক বলেছেনঃ আমরা কোন একজন হতেও জানিনি যে, সে তা করেছে । এ থেকে জানা যাচ্ছে যে, সহাবা এবং তাবে‘ঈগণ তা করতেন না ।আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম আহমাদের মাযহাবও এটিই যে, কবরের নিকট কুরআন পাঠ করা যাবে না । যেমনটি আমি আমার কিতাব ‘‘আহকামুল জানায়েয’’ গ্রন্থের (পৃ ১৯২-১৯৩) মধ্যে সাব্যস্ত করেছি । শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ এর সিদ্ধান্তও এটিই যেমনটি আমি আমার কিতাব ‘‘আহকামুল জানায়েয’’ গ্রন্থে (পৃ ১৭৫-১৭৬) তাহকীক্ব করেছি । আম্বার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের প্রধান ডঃ মাহের ইয়াসীন আলফাহ্ল ‘‘রিয়াযিস সালেহীন’’ গ্রন্থের তাহকীক্ব করতে গিয়ে বলেনঃ এটি ইমাম শাফেঈ‘র কথা নয় বরং তার সাথীদের কথা । দেখুন ‘‘আলমাজমূ’’ (৫/১৮৫)।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন