পরিচ্ছদঃ ৮
দ্বীনে অটল থাকার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,﴿ فَٱسۡتَقِمۡ كَمَآ أُمِرۡتَ ﴾ [هود: ١١٢] অর্থাৎ “সুতরাং তুমি যেরূপ আদিষ্ট হয়েছ সেইরূপ সুদৃঢ় থাক।” (সূরা হুদ ১১২ আয়াত)তিনি আরোও বলেন,﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ قَالُواْ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَٰمُواْ تَتَنَزَّلُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُواْ وَلَا تَحۡزَنُواْ وَأَبۡشِرُواْ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِي كُنتُمۡ تُوعَدُونَ ٣٠ نَحۡنُ أَوۡلِيَآؤُكُمۡ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِۖ وَلَكُمۡ فِيهَا مَا تَشۡتَهِيٓ أَنفُسُكُمۡ وَلَكُمۡ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ ٣١ نُزُلٗا مِّنۡ غَفُورٖ رَّحِيمٖ ٣٢ ﴾ [فصلت: ٣٠، ٣٢] অর্থাৎ “নিশ্চয় যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ’ তারপর তাতে অবিচলিত থাকে, তাদের নিকট ফিরিশতা অবতীর্ণ হয় (এবং বলে), ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হয়ো না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ নাও। ইহকালে আমরা তোমাদের বন্ধু এবং পরকালেও; সেখানে তোমাদের জন্য সমস্ত কিছু রয়েছে যা তোমাদের মন চায়, যা তোমরা আকাঙ্ক্ষা কর। চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লার পক্ষ হতে এ হবে আপ্যায়ন’।” সূরা হা-মীম সাজদাহ ৩০-৩২ আয়াত)তিনি অন্যত্রে বলেন,﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ قَالُواْ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَٰمُواْ فَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ ١٣ أُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَنَّةِ خَٰلِدِينَ فِيهَا جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٤ ﴾ [الاحقاف: ١٣، ١٤] অর্থাৎ “নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ অতঃপর এই বিশ্বাসে অবিচলিত থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, এটাই তাদের কর্মফল।” (সূরা আহক্বাফ ১৩-১৪ আয়াত)
রিয়াদুস সলেহিন : ৮৬
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ৮৬
وعن أبي عمرو، وقيل: أبي عمرة سفيان بن عبد الله رضي الله عنه قال: قلت: يا رسول الله قل لي في الإسلام قولاً لا أسأل عنه أحداً غيرك. قال: "قل آمنت بالله: ثم استقم" (رواه مسلم).
আবূ আমর (মতান্তরে) আবূ আমরাহ সুফিয়ান ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে ইসলামের এমন একটি কথা বলে দিন, যে সম্পর্কে আপনাকে ছাড়া অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা না করতে হয়।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি বল, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম, অতঃপর (তার উপর) অনড় থাক।’’[১]
[১] মুসলিম ৩৮, তিরমিযী ২৪১০, ইবনু মাজাহ ৩৯৭২, আহমাদ ১৪৯৯০, ১৮৯৩৮, দারেমী ২৭১০