পরিচ্ছদঃ ৯৪
মেহমানের খাতির করার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,(আরবী)অর্থাৎ “তোমার নিকট ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি? যখন তারা তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম। উত্তরে সে বলল, সালাম। এরা তো অপরিচিত লোক। অতঃপর ইব্রাহীম সংগোপনে তার স্ত্রীর নিকট গেল এবং একটি (ভুনা) মাংসল বাছুর নিয়ে এল। তা তাদের সামনে রাখল এবং বলল, তোমরা খাচ্ছ না কেন?” (সূরা যারিয়াত ২৪-২৭ আয়াত)তিনি আরো বলেন,(আরবী)অর্থাৎ “আর তার সম্প্রদায় তার কাছে ছুটে এল এবং তারা পূর্ব হতে কুকর্ম করেই আসছিল; লূত বলল, হে আমার সম্প্রদায়! (তোমাদের ঘরে) আমার এই কন্যারা রয়েছে, এরা তোমাদের জন্য পবিত্রতম। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে আমার মেহমানদের ব্যাপারে লাঞ্ছিত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কোন ভালো মানুষ নেই?” (সূরা হুদ ৭৮ আয়াত)
রিয়াদুস সলেহিন : ৭১২
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ৭১২
وَعَن أَبي شُرَيْح خُوَيْلِدِ بن عَمرٍو الخُزَاعِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِزَتَهُ قَالُوا: وَمَا جَائِزَتُهُ ؟ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: يَوْمُهُ وَلَيْلَتُهُ، وَالضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أيَّامٍ، فَمَا كَانَ وَرَاءَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهِ. متفقٌ عَلَيْهِوفي رواية لِمسلمٍ: لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أنْ يُقِيمَ عِنْدَ أخِيهِ حَتَّى يُؤْثِمَهُ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَكيْفَ يُؤْثِمُهُ ؟ قَالَ: يُقِيمُ عِنْدَهُ وَلاَ شَيْءَ لَهُ يُقْرِيه بِهِ
আবূ শুরাইহ খুয়াইলিদ ইবনে ‘আমর খুযা‘য়ী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে।’’ লোকেরা বলল, ‘তার পারিতোষিক কী? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ‘‘একদিন ও একরাত (উত্তমভাবে পানাহারের ব্যবস্থা করা)। আর সাধারণতঃ মেহমানের খাতির তিন দিন পর্যন্ত। (অতঃপর স্বেচ্ছায় তার চলে যাওয়া উচিত)। তিনদিনের অতিরিক্ত হবে মেযবানের জন্য সাদকাহস্বরূপ।’’ (বুখারী ও মুসলিম) মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘‘কোনো মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট এতটা থাকা বৈধ নয়, যাতে সে তাকে গোনাহগার করে ফেলে।’’ লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! তাকে কিভাবে গোনাহগার করে ফেলে?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘এ ওর কাছে থেকে যায়, অথচ ওর এমন কিছু থাকে না, যার দ্বারা সে মেহমানের খাতির করতে পারে।’’
(সহীহুল বুখারী ৬০১৯, ৬১৩৫, ৬৪৭৬, মুসলিম ৪৮, তিরমিযী ১৯৬৭, ১৯৬৮, আবূ দাউদ ৩৭৩৮ ইবনু মাজাহ ৩৬৭২, আহমাদ ১৫৯৩৫, ২৬৬১৮, ২৬৬২০, মুওয়াত্তা মালেক ১৭২৮, দারেমী ২০৩৬)