পরিচ্ছদঃ ৮৪
লজ্জাশীলতা ও তার মাহাত্ম্য এবং এ গুণে গুণান্বিত হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
রিয়াদুস সলেহিন : ৬৮৯
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ৬৮৯
وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أشَدَّ حَيَاءً مِنَ العَذْرَاءِ في خِدْرِهَا، فَإذَا رَأَى شَيْئاً يَكْرَهُهُ عَرَفْنَاهُ في وَجْهِه . متفقٌ عَلَيْهِ
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তঃপুরবাসিনী কুমারীর চেয়েও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। যখন তিনি কোন জিনিস অপছন্দ করতেন আমরা তাঁর চেহারায় তা বুঝতে পারতাম।’ (বুখারী ও মুসলিম) আলেমগণ বলেন, ‘লজ্জাশীলতার প্রকৃতত্ব হল এমন সৎচরিত্রতা, যা নোংরা বর্জন করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং অধিকারীর অধিকার আদায়ে ত্রুটি প্রদর্শন করতে বিরত রাখে।আবুল কাসেম জুনাইদ (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, ‘লজ্জাশীলতা হল, নিয়ামত লক্ষ্য করা এবং সেই সাথে (তার কৃতজ্ঞতায়) ত্রুটি লক্ষ্য করা। এই দুয়ের মাঝে যে অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তাকেই লজ্জা বলা হয়।’
(সহীহুল বুখারী ৩৫৬২, ৬১০২, ৬১১৯, মুসলিম ২৩২০, ইবনু মাজাহ ৪১৮০, আহমাদ ১১২৮৬, ১১৩৩৯, ১১৪২৩, ১১৪৫২, ১১৪৬৪)