পরিচ্ছদঃ ৫৪
আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,﴿ وَيَخِرُّونَ لِلۡأَذۡقَانِ يَبۡكُونَ وَيَزِيدُهُمۡ خُشُوعٗا۩ ١٠٩ ﴾ [الاسراء: ١٠٩] অর্থাৎ “তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে (সিজদা) দেয় এবং এ (কুরআন) তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে।” (সূরা বানী ইস্রাঈল ১০৯ আয়াত)তিনি আরো বলেন,﴿ أَفَمِنۡ هَٰذَا ٱلۡحَدِيثِ تَعۡجَبُونَ ٥٩ وَتَضۡحَكُونَ وَلَا تَبۡكُونَ ٦٠ ﴾ [النجم: ٥٩، ٦٠] অর্থাৎ “তোমরা কি এই কথায় বিস্ময়বোধ করছ? এবং হাসি-ঠাট্টা করছ! ক্রন্দন করছ না?” (সূরা নাজম ৫৯-৬০ আয়াত)
রিয়াদুস সলেহিন : ৪৫১
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ৪৫১
وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ لِي النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم: «اِقْرَأْ عَليَّ القُرْآنَ » قُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَقرَأُ عَلَيْكَ، وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ ؟! قَالَ: «إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أسْمَعَهُ مِنْ غَيرِي » فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ سُورَةَ النِّسَاءِ، حَتَّى جِئْتُ إِلى هذِهِ الآيَةِ: ﴿ فكيف إذا جئنا من كل أمة بشهيد وجئنا بك على هؤلاء شهيداً ﴾ [النساء: ٤١] قَالَ: «حَسْبُكَ الآنَ » فَالَتَفَتُّ إِلَيْهِ فَإِذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ . متفقٌ عَلَيْهِ
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘তুমি আমার সামনে কুরআন তিলাওয়াত কর।’’ উত্তরে আমি আরজ করলাম, ‘আমি আপনার সামনে তিলাওয়াত করব, অথচ তা আপনার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘‘আমি অন্যের কাছ থেকে তা শুনতে ভালবাসি।’’ অতএব আমি সূরা ‘নিসা’ তিলাওয়াত করলাম। পরিশেষে যখন আমি এ আয়াতে এসে পৌঁছলাম; যার অর্থ, ‘‘তখন তাদের কী অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী (নবী) উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব?’’ তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘‘যথেষ্ট, এবার থাম।’’ আমি তাকিয়ে দেখলাম, তাঁর চক্ষু দু’টি থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারী ও মুসলিম) [১]
[১] সহীহুল বুখারী ৪৫৮২, ৫০৪৯, ৫০৫০, ৫০৫৫, ৫০৫৬, মুসলিম ৮০০, তিরমিযী ৩০২৪, ৩০২৫, আবূ দাউদ ৩৬৬৮, ইবনু মাজাহ ৪১৯৪, আহমাদ ৩৫৪০, ৩৫৯৫, ৪১০৭