পরিচ্ছদঃ ৫১
আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,﴿قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ٥٣ ﴾ [الزمر: ٥٣] অর্থাৎ “ঘোষণা করে দাও (আমার এ কথা), হে আমার দাসগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছ, তারা আল্লাহর করুণা হতে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত পাপ মাফ করে দেবেন। নিশ্চয় তিনই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা যুমার ৫৩ আয়াত)তিনি আরো বলেন,﴿وَهَلۡ نُجَٰزِيٓ إِلَّا ٱلۡكَفُورَ﴾ [سبا: ١٧] অর্থাৎ “আমি অকৃতজ্ঞ (বা অস্বীকারকারী)কেই শাস্তি দিয়ে থাকি। (সূরা সাবা ১৭ আয়াত)আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেন,﴿ إِنَّا قَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡنَآ أَنَّ ٱلۡعَذَابَ عَلَىٰ مَن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ ٤٨ ﴾ [طه: ٤٨] অর্থাৎ “নিশ্চয় আমাদের প্রতি অহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তার জন্য, যে মিথ্যা মনে করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।” (সূরা ত্বাহা ৪৮ আয়াত)আল্লাহ তা‘আলা বলেন,﴿ وَرَحۡمَتِي وَسِعَتۡ كُلَّ شَيۡءٖۚ ﴾ [الاعراف: ١٥٦] অর্থাৎ “আমার দয়া তা তো প্রত্যেক বস্তুতে পরিব্যাপ্ত।” (সূরা আ’রাফ ১৫৬ আয়াত)
রিয়াদুস সলেহিন : ৪৪০
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ৪৪০
وَعَن أَنَسٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَصَبْتُ حَدّاً، فَأَقِمْهُ عَلَيَّ، وَحَضَرَتِ الصَّلاةُ، فَصَلَّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا قَضَى الصَّلاةَ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنِّي أصَبْتُ حَدّاً فَأقِمْ فيَّ كِتَابَ اللهِ . قَالَ: «هَلْ حَضَرْتَ مَعَنَا الصَّلاةَ »؟ قَالَ: نَعَمْ . قَالَ: «قَدْ غُفِرَ لَكَ ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি দণ্ডনীয় অপরাধ করে ফেলেছি; তাই আমার উপর দণ্ড প্রয়োগ করুন।’ ইতিমধ্যে নামাযের সময় হল। সেও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামায পড়ল। নামায শেষ করে পুনরায় সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আমি দণ্ডনীয় অপরাধ করে ফেলেছি; তাই আমার উপর আল্লাহর কিতাবে ঘোষিত দণ্ড প্রয়োগ করুন।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি কি আমাদের সাথে নামায আদায় করেছ?’’ সে বলল, ‘জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘‘নিশ্চই তোমার অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহুল বুখারী ৬৮২৩, মুসলিম ২৭৬৪