পরিচ্ছেদ - ৩৭০
দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
রিয়াদুস সলেহিন : ১৮৪১
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১৮৪১
وَعَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الخُشَنِيِّ جُرثُومِ بنِ نَاشِرٍ رضي الله عنه عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ اللهَ تَعَالَى فَرَضَ فَرَائِضَ فَلاَ تُضَيِّعُوهَا، وَحَدَّ حُدُوداً فَلاَ تَعْتَدُوهَا، وَحَرَّمَ أَشْيَاءَ فَلاَ تَنْتَهِكُوهَا، وَسَكَتَ عَنْ أَشْيَاءَ رَحْمَةً لَكُمْ غَيْرَ نِسْيَانٍ فَلاَ تَبْحَثُوا عَنْهَا». حديث حسن، رواه الدارقطني وغيره
আবূ সা’লাবাহ খুশানী জুরসূম ইবনে নাশের (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ বলেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ অনেক জিনিস ফরয করেছেন তা নষ্ট করো না, অনেক সীমা নির্ধারিত করেছেন তা লঙ্ঘন করো না, অনেক জিনিসকে হারাম করেছেন, তাতে লিপ্ত হয়ে তার [মর্যাদার পর্দা] ছিন্ন করো না। আর তোমাদের প্রতি দয়া করে---ভুল করে নয়---বহু জিনিসের ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করেছেন, সে ব্যাপারে তোমরা অনুসন্ধান করো না।’’
[হাসান হাদিস, দারাক্বুত্বনী প্রমুখ] (আমি [আলবানী] বলছিঃ হাদীসটির সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। আমি আমার ‘‘গায়াতুল মারাম ফী তাখরীজে আহাদীসিল হালাল অল হারাম-লিল উসতায শাইখ ইউসুফ কারযাবী’’ গ্রন্থে (নং ৪) এ মর্মে ব্যাখ্যা প্রদান করেছি [এটি আলমাকতাবুল ইসলামী কর্তৃক ছাপানো]। এ ছাড়া সা‘লাবা আলখুশানীর নাম নিয়ে বহু আজব ধরনের মতভেদ সংঘটিত হয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার হাফেয এবং জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মত প্রকাশ করতে সক্ষম হননি। বরং তিনি তার বিষয়টি আল্লাহর উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। এ কারণে লেখকের ব্যাপারে আশ্চর্য হতে হয় তিনি কিভাবে দৃঢ়তার সাথে তার নাম উল্লেখ করলেন তার ব্যাপারে মতভেদের বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত না করেই। আবূ মুসহের দেমাস্কি, আবূ নু‘য়াঈম ও ইবনু রাজাব বলেনঃ আবূ সা‘লাবা হতে মাকহূলের শ্রবণ সাব্যস্ত হয়নি। হাফিয ইবনু হাজার ও হাফিয যাহাবীও বলেছেনঃ সনদটি বিচ্ছিন্ন। [দেখুন ‘‘ফাতাওয়াস শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ্ আলমুনজিদ’’ (পৃ ৩)] ।)