পরিচ্ছেদ - ৩৫৪
মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা হারাম। তবে স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করবে
রিয়াদুস সলেহিন : ১৭৮৩
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১৭৮৩
عَنْ زَينَبَ بِنتِ أَبِي سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَتْ : دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، زَوجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أبُو سُفْيَانَ بنُ حَربٍ رضي الله عنه فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةُ خَلُوقٍ أَوْ غَيرِهِ، فَدَهَنَتْ مِنهُ جَارِيَةً، ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا، ثُمَّ قَالَتْ : واللهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ، غَيْرَ أنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يقُولُ عَلَى المِنْبَرِ : «لاَ يَحِلُّ ِلامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ، إِلاَّ علَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْراً». قالَتْ زَيْنَبُ : ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بنْتِ جَحْشٍ رَضِيَ اللهُ عَنهَا حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا، فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ : أَمَا وَاللهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ، غَيرَ أنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يقُولُ عَلَى المِنْبَرِ : «لاَ يَحِلُّ لامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ علَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْراً». متفق عليه
যয়নাব বিন্তে আবূ সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন শাম (সিরিয়া) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহার পিতা আবূ সুফয়ান (রাঃ)-এর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছল, তখন আমি তাঁর বাসায় প্রবেশ করলাম। (মৃত্যুর তিনদিন পর) তিনি হলুদ বর্ণ দ্রব্য বা অন্য দ্রব্য মিশ্রিত সুগন্ধি আনালেন। তা থেকে কিছু নিয়ে স্বীয় দাসীকে এবং নিজের দুই গালে মাখলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধির কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর (খুতবা দান কালে) এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে স্ত্রীলোক আল্লাহ ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে স্বামী ছাড়া অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা জায়েয নয়। অবশ্য তার স্বামীর জন্য সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।’’ যয়নাব বলেন, তারপর যখন যয়নাব বিন্তে জাহ্শ রাদিয়াল্লাহু আনহার ভাই মারা গেলেন, তখন আমি তাঁর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি সুগন্ধি আনালেন এবং তা থেকে কিছু নিয়ে মাখার পর বললেন; আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধির কোন প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর (খুতবা দান কালে) এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে স্ত্রীলোক আল্লাহ ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে স্বামী ছাড়া অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা জায়েয নয়। অবশ্য তার স্বামীর জন্য সে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে।’’
(সহীহুল বুখারী ১২৮০, ১২৮১, ১২৮২, ৫৩৩৫, ৫৩৪৫, মুসলিম ১৪৮৬, তিরমিযী ১১৯৫, নাসায়ী ৩৫০২, ৩৫২৭, ৩৫৩৩, ৩৫৪১, আবূ দাউদ ২২৯৯, ইবনু মাজাহ ২০৮৪, আহমাদ ২৬২২৫, ২৬২২৬, মুওয়াত্তা মালিক ১২৬৯, দারেমী ২২৮৪)