পরিচ্ছেদ - ২৪৪
যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান
রিয়াদুস সলেহিন : ১৪৫০
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১৪৫০
وعن سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه أنه دخل مع رسول الله صلى الله عليه وسلم على امرأة وبين يديها نوى -أو حصى- تسبح به فقال: "أخبرك بما هو أيسر عليك من هذا - أو أفضل" فقال: "سبحان الله عدد ما خلق في السماء، وسبحان الله عدد ما خلق في الأرض، وسبحان الله عدد ما بين ذلك، وسبحان الله عدد ما هو خالق، والله أكبر مثل ذلك، والحمد لله مثل ذلك، ولا إله إلا الله مثل ذلك، ولا حول ولا قوة إلا بالله مثل ذلك". ((رواه الترمذي وقال: حديث حسن)).
সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে জনৈক মহিলার নিকট গেলেন। তার সম্মুখে তখন খেজুরের বিচি বা কাঁকর ছিল। সেগুলোর সাহায্যে তিনি তাসবীহ গণনা করছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাকে আমি কি এমন বিষয়ের কথা জানাবো যা তোমার জন্য এর চেয়ে সহজ বা এর চেয়ে উত্তম? তা হচ্ছে, “সুবহানাল্লাহি ‘আদাদা মা খালাক্বা ফিস্ সামায়ি” (আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই সব জিনিসের সমসংখ্যক যা তিনি আকাশে সৃষ্টি করেছেন) “ওয়া সুবহানাল্লাহি ‘আদাদা মা খালাক্বা ফিল আরযি” (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেসব বস্তুর সমসংখ্যক যা তিনি দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছেন) “ওয়া সুবহানাল্লাহি ‘আদাদা মা বাইনা যালিক” (পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই সকল জিনিসের সমান যা ঐ দু‘টির মাঝে রয়েছে) “ওয়া সুবহানাল্লাহি ‘আদাদা মা হুয়া খালিকুন” (পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই সব জিনিসের সমসংখ্যক তিনি যার স্রষ্টা) আর “আল্লাহু আকবার বাক্যটিও এভাবেই পাঠ করো, “আল-হামদু লিল্লাহি” বাক্যটিও এভাবেই পাঠ কর, “লা- ইলা- হা ইল্লাল্লাহু” বাক্যটিও এভাবেই পাঠ কর, “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি” বাক্যটিও এরূপেই পাঠ কর। (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন) (আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম তিরমিযী এরূপ বলেছেন, অথচ এর সনদে অজ্ঞতা রয়েছে যেমনটি আমি “আত্ তা‘লীকু আলাল কালিমিত তাইয়্যিব” গ্রন্থে বর্ণনা করেছি (পৃ ২৭) এবং শাইখ হাবাশীর প্রতিবাদ করতে গিয়েও আমি আলোচনা করেছি। ‘নাওয়া’ অথবা ‘হাসা’র সাথে সম্পৃক্ত অংশ উল্লেখ করা ছাড়া হাদীসটির মূল অংশ সহীহ্। এটিকে ইমাম মুসলিম তার সহীহ্ গ্রন্থে (২৭২৬) জুওয়াইরার হাদীস হতে বর্ণনা করেছেন।
((যদিও ভাষায় ভিন্নতা রয়েছে)।ভিন্ন ভাষায় তিরমিযীতেও(১৫৭৪) সহীহ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে) ।আবূ দাউদ ১৫০০, তিরমিযী ৩৫৬৮)