পরিছেদঃ
যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন
সুনানে আন-নাসায়ী : ৪১৩৭
সুনানে আন-নাসায়ীহাদিস নম্বর ৪১৩৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ: لَمَّا قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمَ ذِي الْقُرْبَى بَيْنَ بَنِي هَاشِمٍ، وَبَنِي الْمُطَّلِبِ أَتَيْتُهُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو هَاشِمٍ لَا نُنْكِرُ فَضْلَهُمْ لِمَكَانِكَ الَّذِي جَعَلَكَ اللَّهُ بِهِ مِنْهُمْ، أَرَأَيْتَ بَنِي الْمُطَّلِبِ أَعْطَيْتَهُمْ، وَمَنَعْتَنَا، فَإِنَّمَا نَحْنُ وَهُمْ مِنْكَ بِمَنْزِلَةٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُمْ لَمْ يُفَارِقُونِي فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، إِنَّمَا بَنُو هَاشِمٍ، وَبَنُو الْمُطَّلِبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ»، وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ
জুবায়র ইব্ন মুত‘ইম (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আত্মীয়দের অংশ বনূ হাশিম এবং বনূ মুত্তালিবের মধ্যে বণ্টন করলেন তখন আমি ও উসমান ইব্ন আফ্ফান তাঁর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ওই যে বনূ হাশিম, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের সাথে আপনার যে সম্পর্ক রেখেছেন, তজ্জনিত তাদের শ্রেষ্ঠত্বকে আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু আপনি আমাদের ভাই বনূ আবদুল মুত্তালিবকে দান করলেন এবং আমাদেরকে কিছুই দিলেন না। অথচ আমরা ও তারা সমপর্যায়ের আত্মীয়? তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তারা জাহেলিয়াতে এবং ইসলামে আমাকে ছেড়ে যায়নি।১ আমি তো বনূ হাশিম ও বনূ আবদুল মুত্তালিবকে একই মনে করি। এই বলে তিনি নিজ আঙ্গুলসমূহ পরস্পর গেঁথে দিলেন।
অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কার জীবনে বনূ আবদুল মুত্তালিব ইসলাম গ্রহণ না করলেও কখনও তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেনি; বরং বনূ হাশিমের মত তারাও তাঁর পাশে থেকেছে। এমনকি আবূ তালিব উপত্যকার অন্তরীণ জীবনেও তারা কুরায়শের বিরুদ্ধে এসে স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে অন্তরীণ জীবন যাপন করেছে। পক্ষান্তরে বনূ আব্দ শাম্স ও বনূ নাওফালের আচরণ ছিল এর বিপরীত, যদিও তারাও বনূ হাশিম ও বনূ আবদুল মুত্তালিবের মত আব্দ মানাফের বংশধর এবং মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সমপর্যায়ের আত্মীয়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের এই অবস্থানগত পার্থক্যের দিকেই ইশারা করেছেন।