পরিছেদঃ
আত্মাভিমান
সুনানে আন-নাসায়ী : ৩৯৬৪
সুনানে আন-নাসায়ীহাদিস নম্বর ৩৯৬৪
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ الْمِصِّيصِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تُحَدِّثُ، قَالَتْ: أَلَا أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي، وَعَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْنَا: بَلَى، قَالَتْ: لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِي الَّتِي هُوَ عِنْدِي - تَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - انْقَلَبَ، فَوَضَعَ نَعْلَيْهِ عِنْدَ رِجْلَيْهِ، وَوَضَعَ رِدَاءَهُ، وَبَسَطَ طَرَفَ إِزَارِهِ عَلَى فِرَاشِهِ، فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا رَيْثَمَا ظَنَّ أَنِّي قَدْ رَقَدْتُ، ثُمَّ انْتَعَلَ رُوَيْدًا، وَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا، ثُمَّ فَتَحَ الْبَابَ رُوَيْدًا، وَخَرَجَ وَأَجَافَهُ رُوَيْدًا، وَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي، وَاخْتَمَرْتُ، وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي، فَانْطَلَقْتُ فِي إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَأَطَالَ الْقِيَامَ، ثُمَّ انْحَرَفَ فَانْحَرَفْتُ، فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ، فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ، فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ، وَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ، فَلَيْسَ إِلَّا أَنْ اضْطَجَعْتُ، فَدَخَلَ فَقَالَ: «مَا لَكِ يَا عَائِشَةُ حَشْيَا رَابِيَةً؟» قَالَتْ: لَا، قَالَ: «لَتُخْبِرِنِّي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ؟» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ، قَالَ: «فَأَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُهُ أَمَامِي؟» قَالَتْ: نَعَمْ، قَالَتْ: فَلَهَدَنِي فِي صَدْرِي لَهْدَةً أَوْجَعَتْنِي، ثُمَّ قَالَ: «أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ» قَالَتْ: مَهْمَا يَكْتُمُ النَّاسُ فَقَدْ عَلِمَهُ اللَّهُ؟ قَالَ: «نَعَمْ». قَالَ: «فَإِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ، وَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْكِ، وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ فَنَادَانِي، فَأَخْفَى مِنْكِ، فَأَجَبْتُهُ فَأَخْفَيْتُ مِنْكِ، فَظَنَنْتُ أَنْ قَدْ رَقَدْتِ، وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي، فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَ أَهْلَ الْبَقِيعِ، فَأَسْتَغْفِرَ لَهُمْ» رَوَاهُ عَاصِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ عَائِشَةَ عَلَى غَيْرِ هَذَا اللَّفْظِ
মুহাম্মদ ইব্ন কায়স ইব্ন মাখরামা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং আমার ব্যাপারে কি তোমাদের কাছে বর্ণনা করব না? আমরা বললাম, করবেন না কেন? তিনি বললেনঃ যে রাতে তাঁর অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আমার কাছে থাকার কথা, সেই রাত যখন আসল, তিনি (ইশার সালাত আদায়ের পর) ফিরে আসলেন। তারপর তাঁর জুতাগুলো পায়ের দিকে রাখলেন। চাদর খুলে রাখলেন। ইযারের এক পার্শ্ব বিছানার উপর বিছালেন। তারপর মাত্র এতটুকু সময় অবস্থান করলেন, যতক্ষণে তাঁর ধারণা হল আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। তারপর আস্তে করে জুতা পড়লেন, আস্তে চাদর নিলেন, তারপর আস্তে করে দরজা খুললেন এবং আস্তে করে বের হলেন এবং আস্তে করে দরজা বন্ধ করলেন। আর আমি মাথার দিক থেকে আমার কামিজটি পরিধান করলাম, ওড়না পরলাম, চাদরটি গায়ে দিয়ে আবৃত হলাম, তারপর তাঁর পিছনে চলতে লাগলাম। তিনি জান্নাতুল বাকী’ পর্যন্ত আসলেন এবং তিনবার হাত উঠালেন, বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন, তারপর ফিরে আসছিলেন। আমিও ফিরে আসছিলাম, তিনি তীব্র গতিতে হাঁটলে আমিও তীব্র গতিতে চললাম। তিনি একটু দৌঁড়ে চললেন, আমিও একটু দৌঁড়ে চললাম। পরিশেষে তিনি বাড়িতে পৌঁছে গেলেন। তবে আমি তাঁর একটু আগে পৌঁছলাম। ঘরে প্রবেশ করেই শুয়ে গেলাম। তিনিও প্রবেশ করলেন এবং বললেনঃ হে আয়েশা! তোমার কি হয়েছে, পেট ফোলা দেখা যাচ্ছে ও হাঁপাচ্ছ যে? আয়েশা (রাঃ) বললেন, না তো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হয় তুমি আমাকে বলবে, নয়ত আমাকে সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত সত্তা জানিয়ে দিবেনই। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার পিতামাতা আপনার উপর উৎসর্গ হোক এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ঘটনাটি খুলে বললাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে তুমিই সেই ছায়ামূর্তি যা আমি আমার আগে আগে দেখছিলাম। হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বলেন, তখন তিনি আমার বুকের উপর এমন এক মুষ্ঠাঘাত করলেন, যা আমাকে ব্যথা দিল। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি মনে করেছ যে, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর যুলুম করবেন? হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন, লোক যতই গোপন করুক না কেন, আল্লাহ্ তা নিশ্চিত জানেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর বললেন, তুমি যখন আমাকে দেখছিলে জিবরাঈল (আঃ) আমার কাছে এসেছিলেন, তখন তুমি পোশাক রেখে দিয়েছিলে বলে জিবরাঈল (আঃ) প্রবেশ করেনি। তিনি তোমার থেকে গোপন করে আমাকে ডাকলেন, আমিও তোমাকে না শুনিয়ে উত্তর দিলাম। আমি ধারণা করলাম, তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ এবং শংকিত ছিলাম যে, (তোমাকে জাগিয়ে দিলে একাকীত্ব অনুভব করার কারণে) তুমি ভয় পাবে। জিবরাঈল (আঃ) আমাকে বাকী’তে অবস্থানকারীদের (মৃত ব্যক্তিদের) কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন, যেন তাদের জন্য ক্ষমা চাই।