পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তি যোদ্ধাকে যুদ্ধের সরঞ্জাম প্রদান করে
সুনানে আন-নাসায়ী : ৩১৮২
সুনানে আন-নাসায়ীহাদিস নম্বর ৩১৮২
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ جَاوَانَ، عَنْ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: خَرَجْنَا حُجَّاجًا فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَنَحْنُ نُرِيدُ الْحَجَّ، فَبَيْنَا نَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا نَضَعُ رِحَالَنَا، إِذْ أَتَانَا آتٍ فَقَالَ: إِنَّ النَّاسَ قَدِ اجْتَمَعُوا فِي الْمَسْجِدِ وَفَزِعُوا، فَانْطَلَقْنَا، فَإِذَا النَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَى نَفَرٍ فِي وَسَطِ الْمَسْجِدِ، وَفِيهِمْ عَلِيٌّ، وَالزُّبَيْرُ، وَطَلْحَةُ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، فَإِنَّا لَكَذَلِكَ إِذْ جَاءَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَيْهِ مُلَاءَةٌ صَفْرَاءُ قَدْ قَنَّعَ بِهَا رَأْسَهُ، فَقَالَ: أَهَاهُنَا طَلْحَةُ، أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ، أَهَاهُنَا سَعْدٌ، قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: فَإِنِّي أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ، غَفَرَ اللَّهُ لَهُ» فَابْتَعْتُهُ بِعِشْرِينَ أَلْفًا، أَوْ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: «اجْعَلْهُ فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ»، قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ، قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ ابْتَاعَ بِئْرَ رُومَةَ، غَفَرَ اللَّهُ لَهُ»، فَابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: قَدْ ابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا، قَالَ: «اجْعَلْهَا سِقَايَةً لَلْمُسْلِمِينَ وَأَجْرُهَا لَكَ»، قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ، قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ، فَقَالَ: «مَنْ يُجَهِّزُ هَؤُلَاءِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ» - يَعْنِي جَيْشَ الْعُسْرَةِ -، فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى لَمْ يَفْقِدُوا عِقَالًا وَلَا خِطَامًا، فَقَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ، قَالَ: اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ
আহনাফ ইব্ন কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
বলেন, আমরা হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মদীনায় উপনীত হলাম। আমরা আমাদের মনযিলে পৌঁছে আমাদের হাওদা নামাচ্ছিলাম, এমন সময় আমাদের নিকট এক আগন্তুকের আগমন হলো। সে বললঃ লোক মসজিদে একত্রিত হয়েছে। তারা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম, মসজিদের মধ্যস্থলে কয়েকজন লোকের চতুর্দিকে অন্য লোক একত্রিত হয়ে আছে। তাদের মধ্যে আলী, যুবায়র, তালহা এবং সা'দ ইব্ন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) রয়েছেন। আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, এমন সময় উসমান (রাঃ) আগমন করলেন। তাঁর পরনে ছিল হলুদ বর্ণের একখানা চাদর, তা দ্বারা তিনি তাঁর মাথা ঢেকে রেখেছেন। তিনি বললেন: এখানে কি তালহা (রাঃ) আছেন? এখানে কি যুবায়র (রাঃ) আছেন? এখানে কি সা'দ (রাঃ) আছেন? সকলে বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমি ঐ আল্লাহ্র কসম দিয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অমুক গোত্রের (উট বাঁধার) বা খেজুর শুকাবার স্থানটি যে খরিদ করবে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করবেন? এরপর আমি তা বিশ হাজার অথবা পঁচিশ হাজার (দিরহাম)-এর বিনিময়ে খরিদ করেছি। আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে এসে তাঁকে তার সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ তা আমাদের মসজিদে দিয়ে দাও, আর এর সওয়াব তোমারই থাকবে। তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্ সাক্ষী! হ্যাঁ। তিনি (আবার) বললেনঃ যে আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, সেই আল্লাহ্র কসম দিয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘রুমা’ কূপটি খরিদ করবে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করবেন? আমি তা এত এত বিনিময় দিয়ে খরিদ করে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, আমি এত এত দিয়ে তা খরিদ করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি তা মুসলমানদের পানি-পানের স্থান করে দাও, তার সওয়াব হবে তোমার। তাঁরা বললেন: আল্লাহুম্মা, (আল্লাহ্ সাক্ষী!) হ্যাঁ। তিনি (আবার) বললেনঃ তোমাদের যে আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই তাঁর কসম দিয়ে বলছি, তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত লোকদের চেহারার দিকে লক্ষ্য করে বললেনঃ এ জায়শে- উসরাত’কে (তাবুকের সেনাবাহিনীকে) যে ব্যক্তি যুদ্ধের সামান দিয়ে সজ্জিত করবে, তাকে আল্লাহ্ ক্ষমা করবেন? আমি তাদেরকে এমনভাবে সজ্জিত করলাম যে, কেউ উটের একটি রশিও কম পায়নি। তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্র কসম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থাক।