পরিচ্ছেদ
হজ্জে তামাত্তু [১]
সুনানে আন-নাসায়ী : ২৭৩৮
সুনানে আন-নাসায়ীহাদিস নম্বর ২৭৩৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ قَيْسٍ وَهُوَ ابْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ: «بِمَا أَهْلَلْتَ؟» قُلْتُ: أَهْلَلْتُ بِإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «هَلْ سُقْتَ مِنْ هَدْيٍ؟» قُلْتُ: لَا، قَالَ: «فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ حِلَّ» فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِي فَمَشَطَتْنِي، وَغَسَلَتْ رَأْسِي، فَكُنْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ فِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ، وَإِمَارَةِ عُمَرَ، وَإِنِّي لَقَائِمٌ بِالْمَوْسِمِ إِذْ جَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ: إِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ، قُلْتُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ بِشَيْءٍ فَلْيَتَّئِدْ، فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ، فَأْتَمُّوا بِهِ فَلَمَّا قَدِمَ قُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا هَذَا الَّذِي أَحْدَثْتَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ؟ قَالَ: إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: {وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ} [البقرة: 196] وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ نَبِيِّنَا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ نَبِيَّنَا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى نَحَرَ الْهَدْيَ
আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি (ইয়ামান থেকে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলাম। তখন তিনি ‘বাতহার’ ছিলেন। তিনি বললেনঃ কিসের ইহরাম করেছ? আমি বললামঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যার ইহরাম পাঠ করেছেন, আমিও তার ইহরাম পাঠ করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি কি ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) সাথে নিয়ে এসেছ? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ তা হলে তুমি প্রথমে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সাঈ কর, তারপর হালাল হয়ে যাও। (ইহরাম ভঙ্গ কর)। আমি বায়তুল্লাহর তওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার সাঈ করলাম এরপর আমার বংশের একজন মহিলার নিকট গেলাম, সে আমার মাথা আঁচড়িয়ে ও মাথা মুইয়ে দিল। আমি লোকদেরকে আবূ বকর ও উমরের খিলাফতের সময় এই ফাতাওয়াই দিতাম। আমি এক হাজ্জের মওসুমে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললেনঃ আমীরুল মু’মিনীন হজ্জের ব্যাপারে যে নতুন কথা বলছেন, তা কি আপনি জানেন না? আমি বললামঃ হে লোকসকল! আমি যাকে কোন ফাতাওয়া দিয়েছি সে যেন তাড়াহুড়া না করে। কেননা তোমাদের নিকট আমীরুল মু’মিনীন শীঘ্রই আসছেন, তাঁর অনুসরণ কর। যখন তিনি আগমন করলেন, তখন আমি বললামঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! হজ্জের ব্যাপারে আপনি কি নতুন বিধান প্রবর্তন করেছেন? তিনি বললেনঃ আমরা যদি আল্লাহর কিতাব অনুসরণ করতে চাই তাহলে মহান মহিয়ান আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ এবং উমরা পূর্ণ (সতন্ত্র আদায়) কর।” আর আমরা যদি আমাদের নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নত অনুযায়ী কাজ করি তবে তিনি তো কুরবানী করার পূর্বে হালাল হননি (ইহরাম ভঙ্গ করেননি)।