পরিচ্ছেদ
যাকাত প্রদান না করার ব্যাপারে কঠোর সতর্ক বাণী
সুনানে আন-নাসায়ী : ২৪৪২
সুনানে আন-নাসায়ীহাদিস নম্বর ২৪৪২
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الْغُدَانِيِّ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «أَيُّمَا رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ إِبِلٌ لَا يُعْطِي حَقَّهَا فِي نَجْدَتِهَا وَرِسْلِهَا»، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا نَجْدَتُهَا وَرِسْلُهَا؟ قَالَ: «فِي عُسْرِهَا وَيُسْرِهَا، فَإِنَّهَا تَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَغَذِّ مَا كَانَتْ وَأَسْمَنِهِ وَآشَرِهِ، يُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، إِذَا جَاءَتْ أُخْرَاهَا أُعِيدَتْ عَلَيْهِ أُولَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فَيَرَى سَبِيلَهُ، وَأَيُّمَا رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ بَقَرٌ لَا يُعْطِي حَقَّهَا فِي نَجْدَتِهَا وَرِسْلِهَا، فَإِنَّهَا تَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَغَذَّ مَا كَانَتْ وَأَسْمَنَهُ وَآشَرَهُ، يُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ، فَتَنْطَحُهُ كُلُّ ذَاتِ قَرْنٍ بِقَرْنِهَا، وَتَطَؤُهُ كُلُّ ذَاتِ ظِلْفٍ بِظِلْفِهَا، إِذَا جَاوَزَتْهُ أُخْرَاهَا أُعِيدَتْ عَلَيْهِ أُولَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فَيَرَى سَبِيلَهُ، وَأَيُّمَا رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ غَنَمٌ لَا يُعْطِي حَقَّهَا فِي نَجْدَتِهَا وَرِسْلِهَا، فَإِنَّهَا تَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَغَذِّ مَا كَانَتْ وَأَكْثَرِهِ وَأَسْمَنِهِ وَآشَرِهِ، ثُمَّ يُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَطَؤُهُ كُلُّ ذَاتِ ظِلْفٍ بِظِلْفِهَا، وَتَنْطَحُهُ كُلُّ ذَاتِ قَرْنٍ بِقَرْنِهَا، لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلَا عَضْبَاءُ، إِذَا جَاوَزَتْهُ أُخْرَاهَا أُعِيدَتْ عَلَيْهِ أُولَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فَيَرَى سَبِيلَهُ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তির উট রয়েছে কিন্তু সে অনটন ও প্রাচুর্যের অবস্থায় সেগুলোর যাকাত প্রদান করে না, সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন যে, সেগুলোর অনটন ও প্রাচুর্যের অর্থ কি ? তিনি বললেন : সেগুলোর (মালিকের) দুর্দিনে কিংবা সুদিনে থাকা। কেননা সেগুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এবং অধিক দুর্বিনীতরূপে উপস্থিত হবে। সেই ব্যক্তিকে ঐ উটগুলোর সামনে একটি প্রশস্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। সেগুলো তাকে তাদের ক্ষুর দ্বারা (চক্রাকারে) দলন করতে থাকবে। যখন শেষ উটটি পার হয়ে যাবে তখন প্রথম উটটি ফিরে আসবে। (এই শাস্তি) এমন একদিন (দেওয়া হবে) যেই দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সমপরিমাণ হবে, এই শাস্তি লোকদের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেওয়া হবে। এরপর সে (জান্নাতে কিংবা জাহান্নামের দিকে) তার পথ দেখে নেবে। আর যে ব্যক্তির গরু রয়েছে কিন্তু সে সেগুলোর অনটন বা সচ্ছলতার অবস্থায় যাকাত প্রদান করে না, সেগুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতসম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এবং অধিক দুর্বিনীত রূপে উপস্থিত হবে। সে ব্যক্তিকে ঐ গরুগুলোর সামনে একটি প্রশস্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। তাকে প্রত্যেক শিং বিশিষ্ট জন্তু তার শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে এবং প্রত্যেক ক্ষুর বিশিষ্ট জন্তু তার ক্ষুর দ্বারা দলন করতে থাকবে। যখন তাদের শেষটি পার হয়ে যাবে তখন প্রথমটি ফিরে আসবে, এমন একদিন (এই শাস্তি দেওয়া হবে) যেই দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সমপরিমাণ হবে। এই শাস্তি লোকজনের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেওয়া হবে। এরপর সে (জান্নাত কিংবা জাহান্নামের দিকে) তার পথ দেখে নেবে। আর যে ব্যক্তির ছাগল রয়েছে কিন্তু সে সেগুলোর যাকাত প্রদান করে না অনটন ও সচ্ছলতার অবস্থায়, সেগুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এবং অতি বীভৎস আকৃতিতে উপস্থিত হবে। এরপর সেই ব্যক্তিকে ঐ ছাগলগুলোর সামনে একটি প্রশস্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। তখন প্রত্যেক ক্ষুর বিশিষ্ট জন্তু তাকে তার ক্ষুর দ্বারা দলন করতে থাকবে এবং প্রত্যেক শিং বিশিষ্ট জন্তু তাকে তার শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর কোনটি বাঁকা শিং বিশিষ্ট বা ভাঙ্গা শিং বিশিষ্ট হবে না। যখন শেষটি পার হয়ে যাবে তখন প্রথমটি ফিরে আসবে। (এই শাস্তি) এমন একদিন দেওয়া হবে, যেই দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সম পরিমাণ হবে। এই শাস্তি লোকজনের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়ার পর্যন্ত দেওয়া হবে। এরপর সে তার গন্তব্য স্থান দেখে নেবে।