পরিচ্ছেদ
শোকে সমবেদনা প্রকাশ
সুনানে আন-নাসায়ী : ২০৮৮
সুনানে আন-নাসায়ীহাদিস নম্বর ২০৮৮
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدٍ وَهُوَ ابْنُ أَبِي الزَّرْقَاءِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَيْسَرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جَلَسَ يَجْلِسُ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَفِيهِمْ رَجُلٌ لَهُ ابْنٌ صَغِيرٌ يَأْتِيهِ مِنْ خَلْفِ ظَهْرِهِ، فَيُقْعِدُهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَهَلَكَ فَامْتَنَعَ الرَّجُلُ أَنْ يَحْضُرَ الْحَلْقَةَ لِذِكْرِ ابْنِهِ، فَحَزِنَ عَلَيْهِ، فَفَقَدَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَالِي لَا أَرَى فُلَانًا؟» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بُنَيُّهُ الَّذِي رَأَيْتَهُ هَلَكَ، فَلَقِيَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ بُنَيِّهِ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ هَلَكَ، فَعَزَّاهُ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «يَا فُلَانُ، أَيُّمَا كَانَ أَحَبُّ إِلَيْكَ أَنْ تَمَتَّعَ بِهِ عُمُرَكَ، أَوْ لَا تَأْتِي غَدًا إِلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ إِلَّا وَجَدْتَهُ قَدْ سَبَقَكَ إِلَيْهِ يَفْتَحُهُ لَكَ»، قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، بَلْ يَسْبِقُنِي إِلَى بَابِ الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُهَا لِي لَهُوَ أَحَبُّ إِلَيَّ، قَالَ: «فَذَاكَ لَكَ»
ইব্ন আবূ যারকা মু’আবিয়ার পিতা কুররা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বসতেন তখন সাহাবীদের অনেকে তাঁর কাছে এসে বসতেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অল্প বয়স্ক একটি ছেলে ছিল। তিনি তাঁর ছেলেটিকে পেছনের দিক থেকে নিজের সামনে এনে বসাতেন। অতঃপর ছেলেটি মৃত্যুবরণ করল। তিনি বিষণ্ণ হয়ে পড়লেন। তাঁর ছেলের কথা মনে করে তিনি মজলিসে উপস্থিত হতে পারতেন না। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে না দেখে জিজ্ঞেস করলেন যে, আমি অমুক ব্যক্তিকে কেন দেখছি না? সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি তাঁর ছোট ছেলেটিকে দেখেছিলেন সে মৃত্যুবরণ করেছে। পরে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার ছোট ছেলেটির কি হয়েছে? সে ব্যক্তি বললো, ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। তখন তিনি তাঁকে সান্তনা দিয়ে ধৈর্য ধারন করতে বললেন। তারপর তিনি বললেন যে, হে অমুক! তোমার কাছে কোনটি পছন্দনীয় – “তার দ্বারা তোমার পার্থিব জীবন সুখময় করা; না কাল কিয়ামতে তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়েই প্রবেশ করবে তাকে তথায়ই পাওয়া, তোমার পূর্বেই সেখানে পৌঁছে তোমার জন্য দরজা খুলে দেওয়া? সে বলল, হে আল্লাহ্র রাসুল বরং সে আমার পূর্বে জান্নাতের দরজায় গিয়ে আমার জন্য খুলে দেবে এটাই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। তিনি বললেন, তাহলে তা-ই তোমার জন্য হবে।