পরিচ্ছদঃ ৬.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ২৪৭৬
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২৪৭৬
وَعَنْ عِمْرَانَ بنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ النَّبِىُّ ﷺ لِأَبِىْ: «يَا حُصَيْنُ كَمْ تَعْبُدُ الْيَوْمَ إِلَهًا؟» قَالَ أَبِىْ: سَبْعَةً: سِتًّا فِى الْأَرْضِ وَوَاحِدًا فِى السَّماءِ قَالَ: «فَأَيُّهُمْ تَعُدُّ لِرَغْبَتِكَ وَرَهْبَتِكَ؟» قَالَ: الَّذِىْ فِى السَّمَاءِ قَالَ: «يَا حُصَيْنُ أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَسْلَمْتَ عَلَّمْتُكَ كَلِمَتَيْنِ تَنْفَعَانِكَ» قَالَ: فَلَمَّا أَسْلَمَ حُصَيْنٌ قَالَ: يَا رَسُوْلَ اللهِ عَلِّمْنِى الْكَلِمَتَيْنِ اللَّتَيْنِ وَعَدتنِىْ فَقَالَ: «قُلْ اَللّٰهُمَّ أَلْهِمْنِىْ رُشْدِىْ وَأَعِذْنِىْ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ
‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিতা হুসায়নকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এখন কতজন মা‘বূদের পূজা করছো? আমার পিতা বললেন, সাতজনের- তন্মধ্যে ছয়জন মাটিতে আর একজন আকাশে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আশা-নিরাশার ও ভয়-ভীতির সময় কাকে মানো (কোন্ মা‘বূদকে ডাকো)? আমার পিতা বললেন, যিনি আকাশে আছেন তাকে মানি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তবে শুন হুসায়ন! যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ করো, আমি তোমাকে দু’টি কালিমা শিখাবো, যা তোমার উপকারে (পরকালীন মুক্তি) আসবে। বর্ণনাকারী [‘ইমরান (রাঃ)] বলেন, আমার পিতা হুসায়ন ইসলাম গ্রহণ করার পর বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে ঐ কালিমা দু’টি শিখিয়ে দিন, যার কথা আপনি আমাকে ওয়া‘দা দিয়েছিলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি (সেই আসমানের মা‘বূদকে) বলো, ‘‘আল্ল-হুম্মা আলহিম্নী রুশদী, ওয়া আ‘ইযনী মিন শাররি নাফসী’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে সত্য পথের সন্ধান দাও এবং আমার নাফসের অপকারিতা হতে রক্ষা করো)। (তিরমিযী)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৪৮৩, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ১৯৮৫, রিয়াযুস্ সলিহীন ১৪৯৫, য‘ঈফ আল জামি‘ ৪০৯৮। কারণ এর সানাদে শাবীব একজন দুর্বল রাবী। আর হাসান বাসরী এবং ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন-এর মাঝে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কারণ হাসান ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযিঃ)-কে পাননি।