১৫/৩৪. অধ্যায়ঃ

হত্যাকারীর প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন

সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ২৬৯১

حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْرٍ عِيسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ النَّحَّاسِ وَعِيسَى بْنُ يُونُسَ وَالْحُسَيْنُ بْنُ أَبِي السَّرِىِّ الْعَسْقَلَانِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنْ ابْنِ شَوْذَبٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَتَى رَجُلٌ بِقَاتِلِ وَلِيِّهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اعْفُ فَأَبَى فَقَالَ خُذْ أَرْشَكَ فَأَبَى قَالَ اذْهَبْ فَاقْتُلْهُ فَإِنَّكَ مِثْلُهُ قَالَ فَلُحِقَ بِهِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ قَالَ اقْتُلْهُ فَإِنَّكَ مِثْلُهُ فَخَلَّى سَبِيلَهُ قَالَ فَرُئِيَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ ذَاهِبًا إِلَى أَهْلِهِ قَالَ كَأَنَّهُ قَدْ كَانَ أَوْثَقَهُقَالَ أَبُو عُمَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ شَوْذَبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْقَاسِمِ فَلَيْسَ لِأَحَدٍ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقُولُ اقْتُلْهُ فَإِنَّكَ مِثْلُهُ قَالَ ابْن مَاجَةَ هَذَا حَدِيثُ الرَّمْلِيِّينَ لَيْسَ إِلَّا عِنْدَهُمْ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি তার অভিভাবকের হত্যাকারীকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। সে অস্বীকার করলো। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি দিয়াত গ্রহণ করো। সে তাও অস্বীকার করলো। তিনি বলেনঃ তাহলে যাও, তাকে হত্যা করো। কেননা তুমি তার মতই হবে। রাবী বলেন, তার নিকট গিয়ে তাকে বলা হলো, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবশ্যি বলেছেনঃ তাকে হত্যা করো, তুমি তার মতই হবে। অতঃপর সে তাকে তার পথে ছেড়ে দিলো। রাবী বলেন, তাকে তার রশি টানতে টানতে তার পরিবারের দিকে চলে যেতে দেখা গেলো। সম্ভবত নিহতের দাবিদারগণ তাকে রশি দিয়ে বেঁধেছিল। রাবী আবূ উমাইর (রাঃ) তার হাদীসে বলেন, ইবনু মাওযাব (রাঃ) আবদুর রহমান ইবনুল কাসিম (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এর পর আর কারো পক্ষে এরূপ বলা জায়েয নয় যে, “তাকে হত্যা করো, তুমিও তার মতই হবে”। ইবনু মাজাহ (রাঃ) বলেন, এটা হলো রামলাবাসীদের বর্ণিত হাদীস, যা তাদের ছাড়া আর কারো কাছে নেই। [২৬৯১]

[২৬৯১] নাসায়ী ৪৭৩০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ঈসা বিন ইউনুস সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬৭২, ২৩/৬০ নং পৃষ্ঠা) ২. হুসায়ন বিন আবুস সারী আল-আসকালানী সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও তিনি অপরিচিত। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু আরুবাহ আল-হারবানী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মিথ্যুক। মুহাম্মাদ বিন আবুস সারী আল-আসকালানী বলেন, তোমরা আমার ভাই এর নিকট থেকে কেউ হাদিস গ্রহন করিও না, কারণ তিনি মিথ্যুক। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৩৩১, ৬/৪৬৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. দমরাহ বিন রাবীআহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। আবু সাঈদ বিন ইউনুস আল-মিসরী বলেন, তিনি তাদের যুগে একজন ফকীহ ছিলেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কিছু সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৩৮, ১৩/৩১৬ নং পৃষ্ঠা)উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু হুসায়ন বিব আবুস সারী আল-আসকালানী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি খুবই দুর্বল, ৮ টি দুর্বল, ২০ টি হাসান, ৪০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ১৬৮১, তিরমিযি ১৪০৭, আবু দাউদ ৪৪৯৮, ৪৪৯৯, দারিমী ২৩৫৯, শারহুস সুন্নাহ ২৫২৭।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন