১৪/৩৪. অধ্যায়ঃ
কেউ নিজের স্ত্রীর সাথে বেগানা পুরুষ লোককে পেলে
সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৬০৬
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ২৬০৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ دَلْهَمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ، قَالَ قِيلَ لأَبِي ثَابِتٍ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ حِينَ نَزَلَتْ آيَةُ الْحُدُودِ وَكَانَ رَجُلاً غَيُورًا أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّكَ وَجَدْتَ مَعَ أُمِّ ثَابِتٍ رَجُلاً أَىَّ شَىْءٍ كُنْتَ تَصْنَعُ قَالَ كُنْتُ ضَارِبَهُمَا بِالسَّيْفِ أَنْتَظِرُ حَتَّى أَجِيءَ بِأَرْبَعَةٍ إِلَى مَا ذَاكَ قَدْ قَضَى حَاجَتَهُ وَذَهَبَ . أَوْ أَقُولُ رَأَيْتُ كَذَا وَكَذَا فَتَضْرِبُونِي الْحَدَّ وَلاَ تَقْبَلُوا لِي شَهَادَةً أَبَدًا . قَالَ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " كَفَى بِالسَّيْفِ شَاهِدًا " . ثُمَّ قَالَ " لاَ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَتَتَايَعَ فِي ذَلِكَ السَّكْرَانُ وَالْغَيْرَانُ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ مَاجَهْ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ يَقُولُ هَذَا حَدِيثُ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيِّ وَفَاتَنِي مِنْهُ .
সালামাহ ইবনুল মুহাব্বিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
হাদ্দ সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হলে তীক্ষ্ণ আত্মমর্যাদাবোধের অধিকারী আবূ সাবিত সাদ বিন উবাদা (রাঃ) কে বলা হলো, তোমার স্ত্রীর সাথে বেগানা কোন পুরুষ লোককে পেলে তুমি কি করবে? তিনি বলেন, আমি তাদের উভয়কে তরবারির আঘাতে হত্যা করবো। আমার দ্বারা এটা সম্ভব হবে না যে আমি এই অপকর্মের চারজন সাক্ষী তালাশ করবো এবং সাক্ষী নিয়ে আসতে আসতে সে তার অপকর্ম শেষ করবে অথবা আমি তোমাদের সামনে এসে বলবো যে, আমি এরূপ এরূপ দেখেছি এবং তোমরা আমাকে যেনার অপবাদের শাস্তি দিবে এবং আর কখনো আমার সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না। রাবী বলেন, বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে আলোচনা করা হলে তিনি বলেনঃ তরবারিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট, অতঃপর তিনি বলেনঃ না (এ অনুমতি দেয়া যায় না)। আমি আশঙ্কা করছি যে, উন্মাদ ও আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন ব্যক্তি তাই করে বসবে। ইমাম আবূ আবদুল্লাহ ইবনু মাজা (রাঃ) বলেন, আমি আবূ যুরআ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, এটা হলো আলী বিন মুহাম্মাদ আত-তানাফিসী বর্ণিত হাদীস, যার অংশবিশেষ আমার স্মরণ নাই। [২৬০৬]
[২৬০৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ৪০৯১। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আল-ফাদল বিন দালহাম সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি হাফিয ছিলেন না। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭৩৩, ২৩/২২০ নং পৃষ্ঠা) ২. কাবীসাহ বিন হুরায়স সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি অজ্ঞ। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তার হাদিস বিশুদ্ধ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮৪১, ২৩/৪৭৫ নং পৃষ্ঠা)