১৩/৬৭. অধ্যায়ঃ
এক একটি খেজুরের বিনিময়ে এক বালতি করে পানি উত্তোলন এবং উত্তম খেজুরের শর্তারোপ।
সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪৪৮
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ২৪৪৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لِي أَرَى لَوْنَكَ مُنْكَفِئًا . قَالَ " الْخَمْصُ " . فَانْطَلَقَ الأَنْصَارِيُّ إِلَى رَحْلِهِ فَلَمْ يَجِدْ فِي رَحْلِهِ شَيْئًا فَخَرَجَ يَطْلُبُ فَإِذَا هُوَ بِيَهُودِيٍّ يَسْقِي نَخْلاً فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ لِلْيَهُودِيِّ أَسْقِي نَخْلَكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ كُلُّ دَلْوٍ بِتَمْرَةٍ . وَاشْتَرَطَ الأَنْصَارِيُّ أَنْ لاَ يَأْخُذَ خَدِرَةً وَلاَ تَارِزَةً وَلاَ حَشَفَةً وَلاَ يَأْخُذَ إِلاَّ جَلْدَةً . فَاسْتَقَى بِنَحْوٍ مِنْ صَاعَيْنِ فَجَاءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আনসার সম্প্রদায়ের এক সাহাবী এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কী ব্যাপার, আমি আপনাকে বিবর্ণ দেখছি। তিনি বলেনঃ ক্ষুধার কারণে। অতএব আনসারী নিজ বাড়িতে ফিরে গেলেন, কিন্তু বাড়িতে কিছু না পেয়ে কাজের খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন। তিনি এক ইহূদীকে খেজুর বাগানে পানি সেচ করতে দেখলেন। আনসারী ইহূদীকে বললেন, আমি কি তোমার বাগানে পানি সেচে দিবো? সে বললো, হাঁ। তিনি বললেন, প্রতি বালতির বিনিময়ে একটি করে খেজুর। আনসারী আরও শর্ত লাগান যে, কালো খেজুর, শুষ্ক খেজুর ও নিকৃষ্ট খেজুর নিবো না, বরং উত্তম খেজুর নিবো। অতঃপর তিনি পানি সেচ করে দু’ সা’ পরিমাণ খেজুর পেলেন এবং তা নিয়ে নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে হাজির হলেন। [২৪৪৮]
[২৪৪৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ৫/১৩৫। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী আলী ইবনুল মুনযির সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী ও শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ২১/১৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা) ৩. আবদুল্লাহ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, আমি তার মজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যাবাদীতা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন। আমর ইবনুল ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৩০৫, ১৫/৩১ নং পৃষ্ঠা)