১৩/৩. অধ্যায়ঃ
বিচারকের ইজতিহাদ ক’রে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা
সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৩১৫
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ২৩১৫
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو هَاشِمٍ، قَالَ لَوْلاَ حَدِيثُ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْقُضَاةُ ثَلاَثَةٌ اثْنَانِ فِي النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ رَجُلٌ عَلِمَ الْحَقَّ فَقَضَى بِهِ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ وَرَجُلٌ قَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ فَهُوَ فِي النَّارِ وَرَجُلٌ جَارَ فِي الْحُكْمِ فَهُوَ فِي النَّارِ " . لَقُلْنَا إِنَّ الْقَاضِيَ إِذَا اجْتَهَدَ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ .
বুরায়দাহ ইবনুল হাসীব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কাযীগণ তিন শ্রেণীভুক্ত। দু’ শ্রেণীর কাযী জাহান্নামী এবং এক শ্রেণীর কাযী জান্নাতী। যে ব্যক্তি (কাযী) ন্যায়সঙ্গত ফয়সালা দান করে সে জান্নাতী। যে ব্যক্তি (কাযী) সত্য উপলদ্ধি না করে অজ্ঞতার ভিত্তিতে বিবদমান দলের মধ্যে রায় প্রদান করে সে জাহান্নামী এবং যে ব্যক্তি (কাযী) জ্ঞাতসারে অন্যায় রায় প্রদান করে সেও জাহান্নামী। আবূ হাশিম (রাঃ) বলেন, যদি বিন বুরাইদা থেকে তাঁর পিতার সুত্রে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ হাদীসটি না থাকতো তাহলে আমরা অবশ্যই বলতাম যে, কাযী ইজতিহাদ করে বিচার করলে সে জান্নাতী হবে। [২৩১৫]
[২৩১৫] তিরমিযী ১১৮৫, আবূ দাউদ ৩৫৭৩, ইরওয়া ২৬১৪, মিশকাত ৩৭৩৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী খালফ বিন খালিফাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। তিনি কিছু কিছু রেওয়ায়াতে ভুল করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭০৭, ৮/২৮৪ নং পৃষ্ঠা)