৫/৬০. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশত কিবলার ভিন্ন দিকে সালাত পড়ে।
সুনানে ইবনে মাজাহ : ১০২০
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ১০২০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو الرَّبِيعِ السَّمَّانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَتَغَيَّمَتِ السَّمَاءُ وَأَشْكَلَتْ عَلَيْنَا الْقِبْلَةُ فَصَلَّيْنَا وَأَعْلَمْنَا فَلَمَّا طَلَعَتِ الشَّمْسُ إِذَا نَحْنُ قَدْ صَلَّيْنَا لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَنْزَلَ اللَّهُ {فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ} .
রবীআহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা এক সফরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম) -এর সাথে ছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় কিবলা নির্ণয় করা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়লো। আমরা সালাত পড়লাম এবং একটি চিহ্ন রাখলাম। এরপর সূর্য উদ্ভাসিত হলে আমরা বুঝতে পারলাম যে, আমরা কিবলা ছাড়া অন্যদিকে সালাত আদায় করেছি। আমরা বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উত্থাপন করলাম। তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ্র দিক” (সূরা বাকারাঃ ১১৫)। [১০২০]
[১০২০] তিরমিযী ৩৪৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৯১। উক্ত হাদিসের রাবী আশআস বিন সাঈদ আবু রাবী আস সাম্মান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল মুদতারাব বলেছেন। ইবনু মাহদী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। আমর বিন ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২. আসিম বিন উবায়দুল্লাহ বিন আমির বিন রাবীআহ সম্পর্কে ইবনু মাহদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক মুনকার। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার করেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তার মাধ্যমে দলীল গ্রহন করা যাবে না।