পরিচ্ছেদঃ
ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব
হাদিস সম্ভার : ৮৬৪
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৮৬৪
وَعَنْ أَبيْ عَبدِ اللهِ بِلاَلِ بنِ رَبَاح مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم : أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لِيُؤْذِنَهُ بِصَلاَةِ الغَدَاةِ فَشَغَلَتْ عَائِشَةُ بِلالاً بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدّاً فَقَامَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ وَتَابَعَ أَذَانَهُ فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَلَمَّا خَرَجَ صَلَّى بِالنَّاسِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ شَغَلَتْهُ بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدّاً وَأنَّهُ أَبْطَأَ عَلَيْهِ بِالخُرُوجِ فَقَالَ - يَعَني النَّبِيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم إنِّي كُنْتُ رَكَعْتُ رَكْعْتَي الفَجْرِ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ إنَّكَ أَصْبَحْتَ جِدّاً ؟ فقَالَ لَوْ أَصْبَحْتُ أَكْثَرَ مِمَّا أَصْبَحْتُ لَرَكَعْتُهُمَا وَأَحْسَنْتُهُمَا وَأَجْمَلْتُهُمَا رواه أبُو دَاوُدَ بإسناد حسن
আবূ আব্দুল্লাহ বিলাল ইবনে রাবাহ হতে বর্ণিতঃ
আবূ আব্দুল্লাহ বিলাল ইবনে রাবাহ যিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুআয্যিন ছিলেন। (একবার) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ফজরের নামাযের খবর দেবার মানসে তাঁর নিকট হাযির হলেন। তখন আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহা) তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রাখলেন, তিনি যে সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভোর খুব বেশি পরিস্ফুট হয়ে পড়ল, সুতরাং বিলাল দাঁড়িয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নামাযের খবর দিলেন এবং বারংবার জানাতে থাকলেন। কিন্তু তিনি বাইরে এলেন না। (তার কিছুক্ষণ পর) তিনি এলেন ও লোকদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন। তখন বিলাল (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জানালেন যে, আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহা) তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রেখেছিলেন, যে সম্পর্কে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত খুব ফর্সা হয়ে গেল এবং তিনিও বাইরে আসতে দেরি করলেন। তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন, “আমি ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়ছিলাম।” বিলাল বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো একদম সকাল ক’রে দিলেন।’ তিনি বললেন, “তার চেয়েও বেশি সকাল হয়ে গেলেও, আমি ঐ দু’ রাকআত সুন্নত পড়তাম এবং সুন্দর ও উত্তমরূপে পড়তাম।” (আবূ দাঊদ ১২৫৯, হাসান সূত্রে)