পরিচ্ছেদঃ
প্রথম কাতারের ফযীলত, প্রথম কাতারসমূহ পূরণ করা, কাতার সোজা করা এবং ঘন হয়ে কাতার বাঁধার গুরুত্ব
হাদিস সম্ভার : ৭০৯
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৭০৯
وَعَن النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَقُوْلُ لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ متفقٌ عَلَيهِ وفي رواية لمسلم : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم كَانَ يُسَوِّي صُفُوفَنَا حَتَّى كَأنَّمَا يُسَوِّي بِهَا القِدَاحَ حَتَّى رَأى أنَّا قَدْ عَقَلْنَا عَنهُ ثُمَّ خَرَجَ يَوماً فَقَامَ حَتَّى كَادَ يُكَبِّرُ فَرَأى رَجُلاً بَادِياً صَدْرُهُ مِنَ الصَّفِّ فَقَالَ عِبَادَ اللهِ لتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ
নুমান ইবনে বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, “তোমরা নিজেদের কাতার জরুর সোজা ক’রে নাও; নচেৎ আল্লাহ তোমাদের মুখমন্ডলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ক’রে দিবেন।” (মালেক, বুখারী ৭১৭, মুসলিম ১০০৬নং প্রমুখ) মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাতারগুলি এমনভাবে সোজা করতেন, যেন তিনি এর দ্বারা তীর সোজা করেছেন। (তিনি তাতে প্রবৃত্ত থাকতেন) যতক্ষণ না তিনি জানতে পারতেন যে, আমরা তাঁর কথা বুঝে ফেলেছি। একদিন তিনি বাইরে এলেন (তারপর মুআয্যিন) তাকবীর দিতে উদ্যত হচ্ছিল, এমন সময় একটি লোকের উপর তাঁর দৃষ্টি পড়ল, যার বুক কাতার থেকে আগে বেরিয়ে ছিল। তিনি বললেন, “আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা নিজেদের কাতার সোজা ক’রে নাও, নচেৎ তোমাদের মুখমন্ডলের মধ্যে আল্লাহ বিভিন্নতা ও বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন।” (মুসলিম ১০০৭নং) (অর্থ হল, তোমাদের চেহারার আকৃতি বদলে দেবেন, অথবা তাদের মবে বিদ্বেষ সৃষ্টি করবেন। তোমাদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ ও শত্রুতা জন্ম নেবে, যার অনিবার্য পরিণতি হবে অনৈক্য, অশান্তি, দ্বন্দ্ব-কলহ তথা অধঃপতন।) আবূ দাউদ ও ইবনে হিব্বানের এক বর্ণনায় আছে, একদা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকেদের প্রতি অভিমুখ করে বললেন, “তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর, নচেৎ আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের হৃদয়-মাঝে (পরস্পরের প্রতি) বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দেবেন।” বর্ণনাকার বলেন, ‘আমি দেখেছি (প্রত্যেক) লোক তার পার্শ্ববতী ভাইয়ের বাহুমূলের সাথে বাহুমূল, হাঁটুতে হাঁটু ও গাঁটে গাঁট (টাখ্নাতে টাখ্না) লাগিয়ে দিত। (আবূ দাউদ ৬৬২, ইবনে হিব্বান ২১৭৬, ইবনে খুযাইমা ১৬০, সহীহ তারগীব ৫১২নং)