পরিচ্ছেদঃ
পুণ্যের পথ অনেক
আল্লাহ তাআলা বলেন, (আরবি)অর্থাৎ, তোমরা যে কোন সৎকাজ কর না কেন, আল্লাহ তা সম্যকরূপে অবগত। (সূরা বাক্বারা ২১৫ আয়াত) তিনি আরো বলেন,(আরবি)অর্থাৎ, তোমরা যে সৎকাজ কর, আল্লাহ তা জানেন। (সূরা বাক্বারা ১৯৭ আয়াত) তিনি আরো বলেন,(আরবি)অর্থাৎ, কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলেও সে তা দেখতে পাবে। (সূরা যিললাল ৭ আয়াত) তিনি আরো বলেন,(আরবি)অর্থাৎ, যে সৎকাজ করে, সে নিজ কল্যাণের জন্যই তা করে। (সূরা জাষিয়াহ ১৫ আয়াত) এ বিষয়ে আয়াত অনেক রয়েছে এবং হাদীসও অগণিত রয়েছে। তার মধ্যে কিছু আমরা বর্ণনা করব।
হাদিস সম্ভার : ৪৯৫
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৪৯৫
وعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم ألا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا : بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ إِسْبَاغُ الوُضُوءِ عَلَى المَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاةِ بَعْدَ الصَّلاةِ فَذلِكُمُ الرِّبَاطُ رواه مسلم
উক্ত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব না, যার দ্বারা আল্লাহতাআলা পাপসমূহকে নিশ্চিহ্ন ক’রে দেন এবং মর্যাদা বর্ধন করেন?” সাহাবাগণ বললেন, ‘অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, “কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযু করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদক্ষেপ করা (অর্থাৎ দূর থেকে আসা) এবং এক নামাযের পর দ্বিতীয় নামাযের অপেক্ষা করা। সুতরাং এই হল (নেকী ও সওয়াবে) সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মত।” (মুসলিম ৬১০নং)