পরিচ্ছেদঃ
আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবি)অর্থাৎ, ঘোষণা করে দাও (আমার এ কথা), হে আমার দাসগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছ, তারা আল্লাহর করুণা হতে নিরাশ হয়ে না; নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত পাপ মাফ ক’রে দেবেন। নিশ্চয় তিনিই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা যুমার ৫৩ আয়াত)তিনি আরো বলেন, (আরবি)অর্থাৎ, আমি অকৃতজ্ঞ (বা অস্বীকারকারী)কেই শাস্তি দিয়ে থাকি। (সূরা সাবা ১৭ আয়াত)আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেন, (আরবি)অর্থাৎ, নিশ্চয় আমাদের প্রতি অহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তার জন্য, যে মিথ্যা মনে করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা ত্বাহা ৪৮ আয়াত) আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবি)অর্থাৎ, আমার দয়া তা তো প্রত্যেক বস্তুতে পরিব্যাপ্ত। (সূরা আ'রাফ ১৫৬ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ৪৬৭
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৪৬৭
وَعَن أَنَسٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ أَصَبْتُ حَدّاً فَأَقِمْهُ عَلَيَّ وَحَضَرَتِ الصَّلاةُ فَصَلَّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَلَمَّا قَضَى الصَّلاةَ قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ إنِّي أصَبْتُ حَدّاً فَأقِمْ فيَّ كِتَابَ اللهِ قَالَ هَلْ حَضَرْتَ مَعَنا الصَّلاةَ ؟ قَالَ : نَعَمْ قَالَ قَدْ غُفِرَ لَكَ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি দণ্ডনীয় অপরাধ ক’রে ফেলেছি, তাই আমার উপর দণ্ড প্রয়োগ করুন।’ ইতিমধ্যে নামাযের সময় হল। সেও আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নামায পড়ল। নামায শেষ করে পুনরায় সে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! নিশ্চয় আমি দণ্ডনীয় অপরাধ করে ফেলেছি তাই আমার উপর আল্লাহর কিতাবে ঘোষিত দণ্ড প্রয়োগ করুন।’ তিনি বললেন, “তুমি কি আমাদের সাথে নামায আদায় করেছ?” সে বলল, ‘জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, “নিশ্চই তোমার অপরাধ ক্ষমা ক’রে দেওয়া হয়েছে।” (বুখারী ৬৮২৩, মুসলিম ৭১৮২নং) উক্ত হাদীসে ‘দণ্ডনীয় অপরাধ’ বলতে সেই অপরাধ উদ্দেশ্য নয়, যাতে শরীয়তে নিৰ্ধারিত দন্ড আছে; যেমন মদপান ব্যভিচার প্রভৃতি। কেননা এমন দন্ডনীয় অপরাধ নামায পড়লেই ক্ষমা হয়ে যাবে না। যেমন সে দন্ড প্রয়োগ না করাও শাসকের জন্য বৈধ নয়।