পরিচ্ছেদঃ

ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

আল্লাহ তাআলা বলেন, অর্থাৎ, ত্ব-হা। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিনি। (সূরা ত্বহা ১-২ আয়াত)তিনি আরো বলেন,অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিনতা তাঁর কাম্য নয়। (সূরা বাকুরাহ ১৮৫ আয়াত)

হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৪০১

وعَنْ أَبيْ جُحَيْفَة وَهْب بنِ عَبدِ اللهِ قَالَ : آخَى النَّبيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم بَيْنَ سَلْمَانَ وَأَبي الدَّرْداءِ فَزارَ سَلْمَانُ أَبَا الدَّرداءِ فَرَأى أُمَّ الدَّرداءِ مُتَبَذِّلَةً فَقَالَ : مَا شَأنُكِ ؟ قَالَتْ : أخُوكَ أَبُو الدَّردَاءِ لَيْسَ لَهُ حَاجَةٌ في الدُّنْيَا فَجاءَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فَصَنَعَ لَهُ طَعَاماً فَقَالَ لَهُ : كُلْ فَإِنِّي صَائِمٌ قَالَ : مَا أنا بِآكِلٍ حَتَّى تَأكُلَ فَأَكَلَ فَلَمَّا كَانَ اللَّيلُ ذَهَبَ أَبُو الدَّردَاءِ يَقُومُ فَقَالَ لَهُ : نَمْ فَنَامَ ثُمَّ ذَهَبَ يَقُومُ فَقَالَ لَهُ : نَمْ فَلَمَّا كَانَ مِن آخِر اللَّيلِ قَالَ سَلْمَانُ : قُمِ الآن فَصَلَّيَا جَمِيعاً فَقَالَ لَهُ سَلْمَانُ: إنَّ لِرَبِّكَ عَلَيْكَ حَقّاً وَإِنَّ لِنَفْسِكَ عَلَيكَ حَقّاً وَلأَهْلِكَ عَلَيكَ حَقّاً فَأعْطِ كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَأَتَى النَّبيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَذَكَرَ ذلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم صَدَقَ سَلْمَانُ رواه البخار

আবু জুহাইফা অহব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হিজরতের পর মদীনায়) সালমান ও আবু দারদার মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করলেন। অতঃপর সালমান (একদিন তাঁর দ্বীনী ভাই) আবু দারদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে (তাঁর বাড়ী) গেলেন। তিনি (আবু দারদার স্ত্রী) উম্মে দারদাকে দেখলেন, তিনি মলিন কাপড় পরে আছেন। সুতরাং তিনি তাকে বললেন, ‘তোমার এ অবস্থা কেন?’ তিনি বললেন, “তোমার ভাই আবু দারদার দুনিয়ার কোন প্রয়োজনই নেই।’ (ইতিমধ্যে) আবু দারদাও এসে গেলেন এবং তিনি তাঁর জন্য খাবার তৈরী করলেন। অতঃপর তাঁকে বললেন, ‘তুমি খাও। কেননা, আমি রোযা রেখেছি।’ তিনি বললেন, ‘যতক্ষণ না তুমি খাবে, আমি খাব না।’ সুতরাং আবু দারদাও (নফল রোযা ভেঙ্গে দিয়ে তার সঙ্গে) খেলেন। অতঃপর যখন রাত এল, তখন (শুরু রাতেই) আবু দারদা নফল নামায পড়তে গেলেন। সালমান তাকে বললেন, ‘(এখন) শুয়ে যাও’। সুতরাং তিনি শুয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি (বিছানা থেকে) উঠে নফল নামায পড়তে গেলেন। আবার সালমান বললেন, ‘শুয়ে যাও।’ অতঃপর যখন রাতের শেষাংশ এসে পৌছল, তখন তিনি বললেন, ‘এবার উঠে নফল নামায পড়।’ সুতরাং তারা দু’জনে একত্রে নামায পড়লেন। অতঃপর সালমান তাকে বললেন, ‘নিশ্চয় তোমার উপর তোমার প্রভুর অধিকার রয়েছে। তোমার প্রতি তোমার আত্মারও অধিকার আছে এবং তোমার প্রতি তোমার পরিবারেরও অধিকার রয়েছে। অতএব তুমি প্রত্যেক অধিকারকে তার অধিকার প্রদান কর।’ অতঃপর তিনি নবী -(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁকে সমস্ত ঘটনা শুনালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সালমান ঠিকই বলেছে।” (বুখারী ১৯৬৮, ৬১৩৯নং)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন