পরিচ্ছেদঃ
কান্না করার হাদিসমূহ
আল্লাহ তাআলা বলেন,অর্থাৎ, তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে (সিজদা) দেয় এবং এ (কুরআন) তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে। (সূরা বনী-ইস্রাঈল ১০৯ আয়াত)তিনি আরো বলেন, অর্থাৎ, তোমরা কি এই কথায় বিস্ময়বোধ করছ? এবং হাসি-ঠাট্টা করছ! ক্ৰন্দন করছ না? (সূরা নাজম ৫৯-৬০ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ৩৮৮
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৩৮৮
عَن أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَهُوَ عَلَى سَرِيرٍ مُضْطَجِعٌ مُرْمَلٌ بِشَرِيطٍ وَتَحْتَ رَأْسِهِ وَسَادَةٌ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ فَدَخَلَ عَلَيْهِ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَدَخَلَ عُمَرُ فَانْحَرَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم انْحِرَافَةً فَلَمْ يَرَ عُمَرُ بَيْنَ جَنْبِهِ وَبَيْنَ الشَّرِيطِ ثَوْبًا وَقَدْ أَثَّرَ الشَّرِيطُ بِجَنْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَبَكَى عُمَرُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَا يُبْكِيكَ يَا عُمَرُ قَالَ وَاللهِ إِلَّا أَنْ أَكُونَ أَعْلَمُ أَنَّكَ أَكْرَمُ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ كِسْرَى وَقَيْصَرَ وَهُمَا يَعْبَثَانِ فِي الدُّنْيَا فِيمَا يَعْبَثَانِ فِيهِ وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم بِالْمَكَانِ الَّذِي أَرَى فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمْ الدُّنْيَا وَلَنَا الْآخِرَةُ قَالَ عُمَرُ بَلَى قَالَ فَإِنَّهُ كَذَاكَ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
এক সময় আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলাম। তখন তিনি ছোবড়ার দড়ি দিয়ে বোনা খাটের ওপর শুয়েছিলেন। তার মাথার নিচে খেজুর ছোবড়ার তৈরি একটি বালিশ ছিল। তাঁর দেহ ও খাটের মাঝে একটি মাত্র কাপড় ছিল। (তাতে তাঁর দেহে দাগ পড়ে গিয়েছিল।) ইতিমধ্যে উমার (রাঃ) তাঁর কাছে এলেন। তাঁর এই অবস্থা দেখে তিনি কেঁদে ফেললেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, “কীসের জন্য কাঁদছ উমার?” উমার (রাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি এ জন্য কাঁদছি যে, আমি জানি আপনি আল্লাহর নিকট কিসরা ও কায়সার অপেক্ষা অধিক মর্যাদাবান। কিন্তু তারা দুনিয়ায় কত সুন্দর জীবন-যাপন করছে। আর আপনি আল্লাহর রসূল হওয়া সত্ত্বেও এই অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন!’ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, “উমার! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তাদের জন্য দুনিয়া হোক, আর আমাদের জন্য আখেরাত?” উমার (রাঃ) বললেন, “অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, “তাহলে তেমনটাই হবে।” (আহমদ ১২৪১৭, বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ ১১৬৩নং)