পরিচ্ছেদঃ
কান্না করার হাদিসমূহ
আল্লাহ তাআলা বলেন,অর্থাৎ, তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে (সিজদা) দেয় এবং এ (কুরআন) তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে। (সূরা বনী-ইস্রাঈল ১০৯ আয়াত)তিনি আরো বলেন, অর্থাৎ, তোমরা কি এই কথায় বিস্ময়বোধ করছ? এবং হাসি-ঠাট্টা করছ! ক্ৰন্দন করছ না? (সূরা নাজম ৫৯-৬০ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ৩৮৩
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৩৮৩
قال عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍلِعَائِشَة : : أَخْبِرِينَا بِأَعْجَبِ شَيْءٍ رَأَيْتِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَسَكَتَتْ ثُمَّ قَالَتْ: لَمَّا كَانَ لَيْلَةٌ مِنَ اللَّيَالِي، قَالَ: ্রيَا عَائِشَةُ ذَرِينِي أَتَعَبَّدُ اللَّيْلَةَ لِرَبِّيগ্ধ قُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّ قُرْبَكَ، وَأُحِبُّ مَا يُسِرُّكَ قَالَتْ : فَقَامَ فَتَطَهَّرَ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي، قَالَتْ: فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ حِجْرَهُ، قَالَتْ وَكَانَ جَالِساً فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ، قَالَتْ: ثُمَّ بَكَى حَتَّى بَلَّ الْأَرْضَ فَجَاءَ بِلَالٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلَاةِ فَلَمَّا رَآهُ يَبْكَي قَالَ : يَا رَسُوْلَ الله تَبْكَي وَقَدْ غَفَرَ اللهَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ؟ قَالَ أَفَلَا أَكُوْنَ عَبْداً شَكُوْراً ؟ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عليَّ اللَيْلَةَ آيةٌ ( آيات) ويلٌ لِمَنْ قَرَأَهَا وَلَمْ يَتَفَكَّرَ فِيْهَا إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ الآيَة كُلَّهَا
উবাইদ বিন উমাইর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
একদা আমি আয়েশা (রাঃ)-কে বললাম, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনে সবচেয়ে বড় আশ্চর্যময় ঘটনা কী দেখেছেন, তা আমাদেরকে বলুন। তিনি ক্ষণকাল নীরব থেকে বললেন, ‘এক রাত্রে (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) আমাকে বললেন, “আয়েশা! আজ রাতে আমাকে আমার প্রতিপালকের ইবাদতের জন্য ছেড়ে দাও।” আমি বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি আপনার নৈকট্য চাই এবং তাই চাই, যা আপনাকে আনন্দ দান করে।’ সুতরাং তিনি উঠে ওযু করলেন এবং নামায পড়তে শুরু করলেন। নামাযে তিনি কাঁদতে লাগলেন। তিনি বসে ছিলেন, (চোখের পানিতে) তার কোল ভিজে গেল। তারপরও কাঁদতে লাগলেন। (সিজদায় গেলে অশ্রুতে) মাটি ভিজে গেল! (ফজরের আগে) বিলাল নামাযের খবর দিতে এলেন। তিনি যখন তাকে কাঁদতে দেখলেন, তখন বললেন, “হে আল্লাহর রসূল! আপনি কাঁদছেন? অথচ আল্লাহ আপনার পূর্বাপর সমস্ত গোনাহ মাফ ক’রে দিয়েছেন!" তিনি বললেন, “আমি কি (আল্লাহর) শুক্রগুযার বান্দা হব না? আজ রাত্রে আমার উপর কয়েকটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। ধংস তার জন্য, যে তা পড়েছে, অথচ তা নিয়ে একটু চিন্তা-ভাবনা ক’রে দেখেনি।(আরবি)অর্থাৎ, নিশ্চয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পরিবর্তনে জ্ঞানী লোকেদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। (আলে ইমরানঃ ১৯০ এর পরবর্তী সকল আয়াত, ইবনে হিব্বান ৬২০, সহীহ তারগীব ১৪৬৮নং)