পরিচ্ছেদঃ
অল্পে তুষ্টি চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ন্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ
আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, আর ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী কোন এমন প্রাণী নেই যে, তার রুযী আল্লাহর দায়িত্বে নেই। (সুরা হুদ ৬ আয়াত)তিনি আরো বলেন(আরবী)অর্থাৎ, (দান) অভাবগ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য; যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, জীবিকার সন্ধানে ভূপৃষ্ঠে ঘোরা-ফেরা করতে পারে না। তারা কিছু চায় না বলে, অবিবেচক লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে তাদের লক্ষণ দেখে চিনতে পারবে; তারা লোকেদের কাছে নাছোড় বান্দা হয়ে যাঞা করে না। (সূরা বাক্বারাহ ২৭৩ আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, যারা ব্যয় করলে অপচয় করে না, কার্পণ্য ও করে না; বরং তারা এ দুয়ের মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করে। (সূরা ফুরকান ৬৭ আয়াত) তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,(আরবী)অর্থাৎ, আমি সৃষ্টি করেছি জ্বিন ও মানুষকে কেবল এ জন্য যে, তারা আমারই ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে। (সূরা ফারিয়াত ৫৬-৫৭ আয়াত)এব্যাপারে পূর্বের দুই পরিচ্ছেদে অধিকাংশ হাদীস পার হয়েছে। আরো কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
হাদিস সম্ভার : ২৯৯
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ২৯৯
عَنْ أَبيْ ذَرٍّ قَالَ: قَالَ لِيْ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَبَا ذَرٍّ أَتُرَى كَثْرَةَ المَالِ هُوَ الْغِنَى؟ قلت نعم يَا رَسُول الله قَالَ أَفَتَرَى قِلَّةَ الْماَلِ هُوَ الْفَقْر؟ قُلْتُ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: إِنَّمَا الْغِنَى غِنَى الْقَلْبِ وَالْفَقْرُ فَقْرُ الْقَلْبِ
আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন “হে আবূ যার! তুমি কি বিষয়-সম্পদের আধিক্যকে ধনবত্তা মনে কর?” আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ অতঃপর তিনি বললেন, “তুমি কি ধন-মালের স্বল্পতাকে দরিদ্রতা মনে কর?” আমি বললাম, “হ্যাঁ।” তিনি বললেন, “বরং প্রকৃত ধনবত্তা হল অন্তরের ধনবত্তা। আর প্রকৃত দরিদ্রতা হল অন্তরে দরিদ্রতা।” (নাসাঈ, ইবনে হিব্বান ৬৮৫, হাকেম ৭৯২৯, সঃ তারগীব ৮২৭নং)