পরিচ্ছেদঃ
মহান আল্লাহ্র গুণাবলী
হাদিস সম্ভার : ২৬
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ২৬
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সর্বশেষে যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বের হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে তার সম্পর্কে অবশ্যই আমার জানা আছে। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে (বা বুকে ভর দিয়ে) চলে জাহান্নাম থেকে বের হবে। তখন আল্লাহ আযযা অজাল্ল্ বলবেন, ‘যাও জান্নাতে প্রবেশ কর।’ তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সে ফিরে এসে বলবে ‘হে প্ৰভু! জান্নাত তো পরিপূর্ণ দেখলাম।’ আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলবেন, ‘যাও, জান্নাতে প্রবেশ কর।’ তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত তো ভরে গেছে। তাই সে আবার ফিরে এসে বলবে, ‘হে প্ৰভু! জান্নাত তো ভরতি দেখলাম।’ তখন আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলবেন ‘যাও জান্নাতে প্রবেশ কর। তোমার জন্য থাকল পৃথিবীর সমতুল্য এবং তার দশগুণ (পরিমাণ বিশাল জান্নাত)! অথবা তোমার জন্য পৃথিবীর দশগুণ (পরিমাণ বিশাল জান্নাত রইল)!’ তখন সে বলবে, ‘হে প্ৰভু! তুমি কি আমার সাথে ঠাট্টা করছ? অথবা আমার সাথে হাসি-মজাক করছ অথচ তুমি বাদশাহ (হাসি-মজাক তোমাকে শোভা দেয় না)।’ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এমনভাবে হাসতে দেখলাম যে, তাঁর চোয়ালের দাঁতগুলি প্রকাশিত হয়ে গেল। (আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি হাসলেন কেন হে আল্লাহর রসূল?’ তিনি বললেন, “রব্বুল আলমীনের হাসির কারণে। অতঃপর তিনি বলবেন, ‘আমি তোমার সাথে হাসি-মজাক করিনি। বরং আমি যা ইচ্ছা তাই করতে সক্ষম।’ তিনি বললেন, “এ হল সর্বনিম্ন মানের জান্নাতী।” (বুখারী ৬৫৭১, মুসলিম ৪৮১নং)