পরিচ্ছেদঃ
আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা বলেন, (আরবী)অর্থাৎ, তোমরা শুধু আমাকেই ভয় কর। (সুরা বাক্বারাহ ৪০ আয়াত)তিনি আরো বলেন (আরবী)অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও বড়ই কঠিন। (সূরা বুরুজ ১২ আয়াত) তিনি আরো বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, আর এরূপই তার পাকড়াও, যখন তিনি কোন অত্যাচারী জনপদের অধিবাসীদেরকে পাকড়াও করেন। নিঃসন্দেহে তার পাকড়াও অত্যন্ত যাতনাদায়ক কঠিন। নিশ্চয় এ সব ঘটনায় সে ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে যে ব্যক্তি পরকালের শাস্তিকে ভয় করে। ওটা এমন একটা দিন হবে যেদিন সমস্ত মানুষকে সমবেত করা হবে এবং ওটা হবে সকলের উপস্থিতির দিন। আর আমি ওটা নির্দিষ্ট একটি কালের জন্যই বিলম্বিত করছি। যখন সেদিন আসবে তখন কোন ব্যক্তি আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কথাও বলতে পারবে না। সুতরাং তাদের মধ্যে কেউ হবে দুর্ভাগ্যবান এবং কেউ হবে সৌভাগ্যবান। অতএব যারা দুর্ভাগ্যবান তারা তো হবে দোযখে; তাতে তাদের চীৎকার ও আর্তনাদ হতে থাকবে। (সূরাহুদ ১০২-১০৬ আয়াত)আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেন, (আরবী)অর্থাৎ, আল্লাহ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন। (আলে ইমরান ২৮ আয়াত) আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, সেদিন মানুষ পলায়ন করবে আপন ভ্রাতা হতে এবং তার মাতা ও তার পিতা হতে, তার পত্নী ও তার সন্তান হতে। সেদিন তাদের প্রত্যেকের এমন গুরুতর অবস্থা হবে, যা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে। (সূরা আবাসা ৩৪-৩৭ আয়াত)তিনি আরো বলেন(আরবী)অর্থাৎ, হে মানবমন্ডলী! তোমরা ভয় কর তোমাদের প্রতিপালককে (আর জেনে রেখো যে,) নিঃসন্দেহে কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ানক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী নিজ দুগ্ধপোষ্য শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত ক’রে ফেলবে। আর মানুষকে দেখবে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়; বস্তুতঃ আল্লাহর শাস্তি বড় কঠিন৷ (সুরা হজ্জ ১-২ আয়াত)তিনি অন্যত্র বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, আর যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্য রয়েছে দু’টি (জান্নাতের) বাগান। (সূরারহমান ৪৬ আয়াত) তিনি আরো বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, তারা একে অপরের দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করবে এবং বলবে, নিশ্চয় আমরা পূর্বে পরিবার-পরিজনের মধ্যে শংকিত অবস্থায় ছিলাম। অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে উত্তপ্ত ঝড়ো হাওয়ার শাস্তি হতে রক্ষা করেছেন। নিশ্চয় আমরা পূর্বেও আল্লাহকে আহবান করতাম। নিশ্চয় তিনি কৃপাময়, পরম দয়ালু। (সুরা ত্বুর ২৫-২৮ আয়াত)এ বিষয়ে বহু আয়াত রয়েছে। যেমন হাদীসও রয়েছে অনেক নিম্নে কতিপয় হাদীস উল্লিখিত হলঃ
হাদিস সম্ভার : ২২২
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ২২২
وَعَنْ أَبيْ ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم إنِّي أَرَى مَا لاَ تَرَوْنَ أطَّتِ السَّمَاءُ وَحُقَّ لَهَا أنْ تَئِطَّ مَا فِيهَا مَوضِعُ أرْبَعِ أصَابعَ إلاَّ وَمَلَكٌ وَاضِعٌ جَبْهَتَهُ سَاجِداً للهِ تَعَالَى وَاللهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيراً وَمَا تَلَذَّذْتُمْ بالنِّسَاءِ عَلَى الفُرُشِ وَلَخَرَجْتُمْ إِلَى الصُّعُدَاتِ تَجْأرُونَ إِلَى اللهِ تَعَالَى رواه الترمذي وَ قَالَ حديث حسن
আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “অবশ্যই আমি দেখি, যা তোমরা দেখতে পাও না। আকাশ কটকট ক’রে শব্দ করছে। আর এ শব্দ তার করা সাজে। এতে চার আঙ্গুল পরিমাণ এমন জায়গা নেই, যেখানে কোন ফিরিশ্তা আল্লাহর জন্য সিজদায় নিজ কপাল অবনত রাখেননি। আল্লাহর কসম! তোমরা যদি জানতে যা আমি জানি, তবে তোমরা কম হাসতে এবং বেশী কাঁদতে এবং বিছানায় তোমরা স্ত্রীদের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে না। (বরং) তোমরা আল্লাহর আশ্রয় নেওয়ার জন্য পথে পথে বের হয়ে যেতে।” (তিরমিী ২৩১২. ইবনে মাজাহ ৪১৯০নং)