পরিচ্ছেদঃ
ফিতনা সম্পর্কিত হাদীসসমূহ
হাদিস সম্ভার : ১৮৯০
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ১৮৯০
وعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: كَيْفَ بِكُمْ إِذَا لَبِستكُمْ فِتْنَةٌ يَرْبُو فِيْهَا الصَّغِيْرُ وَ يُهْرِمُ فِيْهَا الكَبِيْرُ وَتَتَخِذُ سُنَّة فَإِنَّ غَيَّرَتْ يَوْمًا قِيْلَ هَذَا مُنْكَرٌ قِيْلَ : وَمَتَى ذَلِكَ ؟ قَاَل إِذَا قِلَّتْ أَمْنَاؤُكُمْ وَكَثُرَتْ أُمَرَاؤُكُمْ وَقِلَّتْ فُقَهَاؤُكُمْ وَكَثُرَتْ قُرَّاؤُكُمْ وَتَفَقَّهُ لِغَيْرِ الدِّيْنِ وَالتَّمَسَّتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الآخِرَةِ
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘তোমাদের তখন কী অবস্থা হবে, যখন তোমাদেরকে ফিতনা-ফাসাদ গ্রাস করে ফেলবে? যাতে শিশু প্রতিপালিত (বড়) হবে এবং বড় বৃদ্ধ হবে, (তা সকলের অভ্যাসে পরিণত হবে) আর তাকে সুন্নাহ (দ্বীনের তরীকা) মনে করা হবে। পরন্তু তার যদি কোনদিন পরিবর্তন সাধন করা হয় তাহলে লোকেরা বলবে, ‘এ কাজ গর্হিত !’তাঁকে প্রশ্ন করা হল, ‘(হে ইবনে মাসঊদ!) এমনটি কখন ঘটবে?’ তিনি বললেন, ‘যখন তোমাদের মধ্যে আমানতদার লোক কম হবে ও আমীর (বা নেতার সংখ্যা) বেশী হবে, ফকীহ (বা প্রকৃত আলেমের সংখ্যা) কম হবে ও ক্বারী (কুরআন পাঠকারীর) সংখা বেশী হবে, দ্বীন ছাড়া ভিন্ন উদ্দেশ্যে জ্ঞান অন্বেষণ করা হবে এবং আখেরাতের আমল দ্বারা পার্থিব সামগ্রী অনুসন্ধান করা হবে।’ (আব্দুর রাযযা্ক ২০৭৪২, ইবনে আবী শাইবা ৩৭১৫৬, সহীহ তারগীব ১১১)যুগের মানুষ খারাপ হলে অথবা ধর্মীয় ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কা হলে অথবা হারাম ও সন্দিহান জিনিসে পতিত হওয়ার ভয় হলে অথবা অনুরূপ কোন কারণে নির্জনতা অবলম্বন করা উত্তম।আল্লাহ তাআলা বলেন,فَفِرُّوا إِلَى اللهِ إنِّي لَكُمْ مِنْهُ نَذِيرٌ مُبِينٌঅর্থাৎ, সুতরাং তোমরা আল্লাহর দিকে পলায়ন কর; নিশ্চয় আমি তাঁর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা যারিয়াহ ৫০ আয়াত)